ফাইল চিত্র।
কোভিডেই শেষ নয়, ফের আসতে পারে অতিমারি। কিন্তু সে ধাক্কা সামলাতে তৈরি নয় বিশ্ব। এমনকি সামান্য ঘাত-প্রতিঘাত সামলাতেও তৈরি নেই বেশির ভাগ দেশ। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই বিপদবার্তা।
সম্প্রতি ‘গ্লোবাল হেল্থ সিকিয়োরিটি ইনডেক্স’ প্রকাশিত হয়েছে। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এমন কোনও দেশ নেই, যারা ভাল ফল করেছে। এ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হয়েছে, যে কোনও স্বাস্থ্য বিপর্যয় সামলাতে কী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এবং এ সংক্রান্ত কী কী সমস্যা রয়েছে। কাজ করেছে তিনটি প্রতিষ্ঠান— ‘নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ’, ‘ইকনমিস্ট ইমপ্যাক্ট’ এবং জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর হেল্থ সিকিয়োরিটি’। সূচকে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তারা মোট নম্বর পেয়েছে ১০০তে ৭৫.৯। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিনল্যান্ড। ভারতের স্থান ৬৬-তে। এ দেশের মোট নম্বর ১০০-তে ৪২.৮।
রিপোর্টে বলা হয়েছে— ‘‘২০২১ সালের গ্লোবাল হেল্থ সিকিয়োরিটি ইনডেক্সে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু গুরুতর পরিকাঠামো কোনও দেশেই নেই। এর জন্যই কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে প্রথমে তাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। ভবিষ্যতে ফের মহামারি বা অতিমারি দেখা গেলে, তার জন্য কোনও আগাম প্রস্তুতিও নেই। ২০২১-এর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মেপে সূচকের এই বিভাগে দেশগুলি গড়ে নম্বর পেয়েছে ১০০-য় ৩৮.৯। ২০১৯ সালেও এই নম্বর ছিল।’’
নতুন জীবাণুর আগমনে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ প্রতিহত করার প্রস্তুতিতে বিশ্বের গড় নম্বর আরও কম। এই ক্যাটেগরিতে বিশ্বের গড় নম্বর ১০০-তে ২৮.৪। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করার মতো, প্রাণীদেহ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটার যে ঝুঁকি, তা নিয়ে অন্তত ১১৩টি দেশ সম্পূর্ণ উদাসীন। এদের মধ্যে কেউ কেউ কিছুটা চিন্তিত, বাকিরা একেবারেই সচেতন নয়।
জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর হেল্থ সিকিয়োরিটি-র গবেষক জেনিফার নুজ়ো বলেন, ‘‘রাষ্ট্রনেতাদের কাছে এখন কিন্তু পথ রয়েছে। কোভিড অতিমারিতে যে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই স্থানে নির্দিষ্ট ও জোরদার বিনিয়োগ করতে হবে সরকারকে। যাতে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে দেশগুলোকে তৈরি করা যায়। এটা না করলে দশকের পর দশক ধরে যে অবহেলায় পড়েছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সেখানেই ফিরে যাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এবং ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটলে, তার পরিণতি ভয়ানক হবে।’’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে গত তিন বছরে অতিমারি সামলানোর খাতে তেমন বিনিয়োগ হয়নি। হাসপাতাল, ক্লিনিকের উন্নতিতেও তেমন কোনও কাজ হয়নি। রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা খাতে ঝুঁকি বেড়েছে। অন্তত ১৬১টি দেশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সরকারের প্রতি ভরসা একেবারেই কম। সূচকে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি সরকারের প্রতি অনাস্থাতেও শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় অতিমারির প্রথম পর্বে সরকারি উদাসীনতা ছিল চরম। কোভিড অতিমারিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে এই দেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy