গুলিতে ঝাঁঝরা দেহ ঝুলছে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছবি সংগৃহীত
ক্রেন থেকে ঝুলছে গুলিতে ঝাঁঝরা অপরাধীর নিথর দেহ। ক্ষতবিক্ষত। নব্বইয়ের দশকের পর আবার এমন হাড় হিম করা দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশের মূল শহর এলাকায়। শহরের বাইরে নানা জায়গাতেও এই ভাবেই অপরাধীদের গুলি করে ক্রেন থেকে দেহ ঝুলিয়ে দিচ্ছে তালিবান। সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানাচ্ছেন হেরাটের বাসিন্দারা।
হেরাট শহরের ঠিক যে জায়গায় ওই গুলিবিদ্ধ দেহটি ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে তালিবরা, তার ঠিক পাশেই ওষুধের দোকান ওয়াজির আহমেদ সিদ্দিকির। তিনি বলছেন, ‘‘একটা নয়, এই রকম চারটে দেহ নিয়ে এসেছিল ওরা। এখানে একটা দেহ ঝুলিয়ে বাকি তিনটে নিয়ে চলে গিয়েছে। হয়তো অন্য কোথায় গিয়ে ঝুলিয়ে দেবে। ওই ব্যক্তি কী অপরাধ করেছে, দেহ ঝোলানোর সময় মাইকিং করে তা সবাইকে জানাচ্ছিল তালিবরা।’’
তালিবদের মুখেই সিদ্দিক শোনেন, দু’জনকে অপহরণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল ওই চার জন। সেখানেই তাদের গুলি করে হত্যা করে তালিবান। হেরাটের পুলিশ প্রধান জিয়াউলহক জালালিও পরে জানান, ‘‘এক বাবা ও ছেলেকে অপহরণ করেছিল ওই চার জন। তালিবদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে ওরা মারা গিয়েছে। গুলির লড়াইয়ের সময়ে এক তালিব যোদ্ধা ও ওই এলাকার এক বাসিন্দা আহত হয়েছেন।’’
সম্প্রতি তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নুরউদ্দিন তুরাবি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ‘আধুনিক’ তালিবানি শাসনেও স্বল্প অপরাধের শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের একটি হাত বা একটি পা কেটে দেওয়ার রীতি বজায় থাকবে। নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানে খুনের অপরাধীদের সর্বসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হত। হত্যা করতেন নিহত বা নিগৃহীতের পরিবারের মানুষ। সর্বসমক্ষেই দোষীদের হাত–পা কেটে নেওয়া হত। বড় খেলার মাঠ বা স্টেডিয়ামের ভিতর প্রকাশ্যে হত সেই শাস্তি। নুর অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ‘‘এ বার হাত –পা কাটা হলেও তা জনসমক্ষে হবে না।’’
তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আইন আমরা কী ভাবে বলবৎ করব, তা অন্য কেউ বলে দেবে না। আমরা আমাদের আইন নিজেরা তৈরি করব। ইসলামকে অনুসরণ করে আর কোরানের উপর ভিত্তি করেই আইন তৈরি করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy