ভূমিকম্পে নিজে বেঁচে গেলেও গোটা পরিবারকে হারিয়েছেন আহিমেদ ইদ্রিশ। ছবি: রয়টার্স।
বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে শহর ছেড়েছিলেন। কিন্তু ভূমিকম্প কেড়ে নিল পরিবারের ২৫ জনকেই।
আহমেদ ইদ্রিশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বোমাবর্ষণ থেকে পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ২০২২ সালে নিজের শহর ছেড়ে বহু দূরে অন্য একটি শহর সারাকিবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শান্ত শহর। বোমাবর্ষণের কোনও ভয় ছিল না। নির্ভয়েই সময় কাটছিল ইদ্রিশ এবং তাঁর পরিবারের। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সারাকিবে এসেও পরিবারের কাউকে বাঁচাতে পারলেন না তিনি। নিজে বেঁচে গিয়েছেন, কিন্তু পরিবারের ২৫ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে।
ইদ্রিস বলেন, “বেশ আনন্দেই কাটছিল দিন। যে ভয়ে শহর ছেড়ে বহু মাইল দূরে এই সারাকিভে এসে ঠাঁই নিয়েছিলাম, সেই শহরই কেড়ে নিল আমার গোটা পরিবারকে। আমি এখন কী করে বাঁচব?” সারাকিভের একটি শিবিরে পর পর শোয়ানো ২৫টি দেহ। ইদ্রিশ এক বার ছুটে যাচ্ছেন পুত্রের দেহের কাছে, এক বার নাতির দেহের সামনে, কখনও আবার স্ত্রী, কন্যার দেহ জড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদে উঠছিলেন।
সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। সিরিয়াতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। ইদ্রিশের মতো বহু মানুষ তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। কোনও কোনও জায়গায় গোটা পরিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ভূমিকম্পের কারণে গৃহহীন। মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। যদিও সেই সংখ্যাটা কত তা স্পষ্ট করতে পারেনি প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy