বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবির মাঝেই তৈরি হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এ বার সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চলেছেন। আগামী শুক্রবার নতুন দলটির সূচনা হবে। অপর সামাজিক মঞ্চ জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলিত ভাবে এই রাজনৈতিক দল গঠন করছে তারা। কোন পক্ষের কারা কোন সাংগঠনিক পদে থাকবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বের।
তবে নতুন দলের নাম কী হবে, কারা কোন দায়িত্বে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্য, “নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে মানুষের যে কল্পনা, বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের বিষয়। সেই লড়াইকে সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐক্যবদ্ধ ভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে।”
নতুন দলের কমিটিতে কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়ে এখনই কিছু প্রকাশ্যে আনছেন না তাঁরা। শুক্রবার দল গঠনের সময়েই এ বিষয়ে তথ্য জানানো হবে। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, নতুন দলের আহ্বায়ক হতে পারেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা। জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, শুক্রবারের আগেই উপদেষ্টার পদ ছাড়তে পারেন নাহিদ।
আরও পড়ুন:
ঘটনাচক্রে বর্তমানে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের দাবিও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ছ’মাস অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার চাইছে, নির্বাচন আয়োজনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলি সেরে ফেলতে। তবে প্রক্রিয়ায় গতি আনার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বিএনপির বক্তব্য, সংস্কার তারাও চায়। তবে সংস্কার করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যেন সরকার গঠন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না-করা হয়।