Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

Coronavirus: দু’বছরেও অজানা অতিমারির উৎস!

বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই বিশ্বাস করেন, কোনও বনাঞ্চলে ভাইরাসটির জন্ম হয়েছিল। হয় বাদুড়ের শরীর থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে এসেছিল ভাইরাসটি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৫
Share: Save:

ঠিক দু’বছর আগের কথা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই চিনের উহানে ধরা পড়েছিল এক রহস্যময় জ্বর। পরের দু’টো বছরে কোটি কোটি সংক্রমণ ঘটে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। ৫২ লক্ষের বেশি মৃত্যু। কিন্তু গত দু’বছরেও জানা যায়নি সার্স-কোভ-২-এর উৎস।

বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই বিশ্বাস করেন, কোনও বনাঞ্চলে ভাইরাসটির জন্ম হয়েছিল। হয় বাদুড়ের শরীর থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে এসেছিল ভাইরাসটি। নয়তো বাদুড় থেকে অন্য কোনও প্রাণীর দেহ হয়ে মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটে। আবার বিজ্ঞানীদের অন্য একটি দল মনে করে, ভাইরাসটি ছড়িয়েছে চিনের গবেষণাগার থেকে। কিন্তু এর নিশ্চিত উত্তর কারও কাছে নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর উত্তর কোনও দিন জানাও যাবে না। এ অবস্থায় অধিকাংশ বিজ্ঞানী এই তত্ত্বটিতেই জোর দিচ্ছেন, সংক্রমণটি ‘জ়ুনোটিক’, অর্থাৎ প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছিল। তাঁদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে নতুন ভাইরাস বা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ সামলানোর ক্ষেত্রে করোনা অতিমারি থেকে নেওয়া শিক্ষা কাজে দেবে।

উটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন গোল্ডস্টাইন বলেন, ‘‘গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্বটি অনেকের নজর কেড়েছিল। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।’’ এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট অগস্ট মাসে ‘সেল’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গোল্ডস্টাইন-সহ ২০ জন বিজ্ঞানী একত্রে রিপোর্টটি তৈরি করেছিলেন।

এই রিপোর্টের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অ্যারিজ়োনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী মাইকেল ওরোবে। তিনি গোড়া থেকেই গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর তুলনায় জ়ুনোটিক সংক্রমণে জোর দিয়েছেন। তবে কোনও তত্ত্বকেই পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি তিনি। বলেছেন, ‘‘সব কিছুই হতে পারে। কিছুই অসম্ভব নয়।’’ এই রিপোর্টে অবশ্য জানিয়েছেন, অন্য গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে, যা কিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে সব খতিয়ে দেখে ‘জ়ুনোটিক হাইপোথিসিস’-ই আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

গত মাসে ওরোবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের একটি টাইমলাইন প্রকাশ করেছিলেন। সেই রিপোর্টে তিনি লিখেছিলেন, উহানের হুয়ানান সিফুড হোলসেল বাজার থেকে প্রথম মানবদেহে সংক্রমণটি ঘটেছিল বলে জানা যায়। এই বাজারে জীবিত জন্তু-জানোয়ার বিক্রি হয়। ওরোবের কথায়, ‘‘গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর থিয়োরি একপ্রকার মূল ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিয়েছিল।’’

তবে কেউই কোনও থিয়োরিতে জোর দিয়ে সমর্থন করছেন না। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর গোয়েন্দা বাহিনীকে অতিমারি-তদন্ত ভাল করে পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট তৈরি হওয়া এখনও বাকি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অবশ্য আশঙ্কা, অতিমারির উৎস কোনও দিন জানা যাবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy