ছবি: রয়টার্স।
বছরখানেকের কূটনীতিতে আচমকাই ছেদ! আফগানিস্তান ও তালিবান নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক বাতিল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার টুইটারে এ কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প স্বয়ং। এর ফলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর ক্ষেত্রেও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল।
রবিবার মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ট্রাম্প এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরফ গনি ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শীর্ষ তালিবান নেতাদের। তবে গত বৃহস্পতিবার কাবুলে তালিবান জঙ্গিহানায় আমেরিকার এক সেনা এবং আরও ১১ জন নিহত হওয়ার পর এ দিন ওই বৈঠকের ব্যাপারে বেঁকে বসেছেন ট্রাম্প। গত কাল এ নিয়ে একাধিক টুইট করেন তিনি। তাতেই তিনি তালিবান-সহ আফগানিস্তান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন।
একটি টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ফাঁপা উদ্দেশ্যসাধনের জন্য ওরা (তালিবান) কাবুলে হামলা চালিয়েছে। যাতে আমাদের এক মহান সৈনিক এবং আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে শান্তিপ্রক্রিয়ায় ছেদ টেনেছি।’ অপর একটি টুইটে ওই হামলার নিন্দা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘এরা কেমন লোক যারা নিজেদের দর বাড়ানোর জন্য এত জনকে খুন করে?’ ট্রাম্পের মতে, ওই হামলার পর পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে তালিবানরা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে ইমরানের উল্টো সুরে বেজিং
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জকে ভারতের উপহার সৌর প্যানেল
....an attack in Kabul that killed one of our great great soldiers, and 11 other people. I immediately cancelled the meeting and called off peace negotiations. What kind of people would kill so many in order to seemingly strengthen their bargaining position? They didn’t, they....
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) September 7, 2019
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশবাঁও জলে পড়েছে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর প্রশ্নটি। পেন্টাগন জানিয়েছিল, আগামী বছরের গোড়ার দিকে আফগানিস্তানে মোতায়েন ১৩ হাজার মার্কিন সেনাকর্মীর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার সেনাকর্মীকে সরানো হবে। এর পরিবর্তে আল কায়েদা এবং আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকাকে সাহায্য করবে তালিবান। পাশাপাশি, জঙ্গিরা যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে তাকে নিজেদের স্বর্গরাজ্য পরিণত না করে, তা-ও দেখবে তারা। এমনটাই চুক্তি হয়েছিল তালিবানের সঙ্গে। ওয়াশিংটনের আশা ছিল, তালিবান ও কাবুলের মধ্যে দর কষাকষি শুরু হলে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরার পথ প্রশস্ত হবে। তবে এ দিনের গোপন বৈঠক বাতিলের পর সে আশা দুরাশাই হয়ে পড়ল বলে মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy