দেশে প্রবল ক্ষোভ ছিল। জনসংখ্যায় পুরুষদের সংখ্যা মেয়েদের থেকে এতই বেশি যে অনেকেরই পাত্রী জুটছিল না। তীব্র বিরোধিতা করছিলেন মানবাধিকার কর্মীরা। বাড়ছিল নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ। অবশেষে এই সমস্যার মূল কারণ ‘এক সন্তান নীতি’-কে তুলেই দিল চিন। আরও আলগা হল বজ্রমুষ্টি।
বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে দম্পতিদের দু’টি সন্তান ধারণের সুযোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল চিন। বেজিং-এ কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চম প্লেনাম-এ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্য এবং ১৭০ জন আমন্ত্রিত সদস্য এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকেই এই নীতি তুলে দেওয়া নিয়ে চিনের সরকারি মহলে আলোচনা শুরু হয়। এই নীতি তুলে দেওয়া হবে এমন ইঙ্গিতও আসতে থাকে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮০’এর দশকে এই ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করে চিন। অত্যন্ত কঠোর ভাবে সেই নীতি বলবৎ করাও হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ উঠে আসে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচিত হয়েছে চিন। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। জোর করে গর্ভপাতের অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। আবার যে সব বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র সন্তানের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের হাহাকারের নানা কাহিনিও সামনে এসেছে। এই নীতির সমালোচনা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও। তিনি দেখিয়েছেন, শুধু মানবাধিকারের হননই নয় এই নীতি দম্পতিদের মধ্যে পুত্র-সন্তান পাওয়ার আকাঙ্খাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে চিনে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে নানা সামাজিক সমস্যা।
এই সংক্রান্ত আরও খবর সবিস্তারে দেখতে ক্লিক করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy