নিষেধাজ্ঞা এ বার উৎসবেও!
প্রকাশ্যে বড়দিন উদ্যাপন নিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরের ছোট্ট দেশ ব্রুনেইয়ে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। রাস্তা-ঘাটে কোনও নাগরিককে বড়দিন উদ্যাপন করতে দেখলেই গ্রেফতার করা হবে। কারণ, সাড়ে চার লক্ষ জনবসতির এই দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষই মুসলিম। তাদের সামনে যেন কোনও মতেই বড়দিন উদ্যাপন করা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এমন বিধি।
ব্রুনেইয়ের ইতিহাসে এমন কানুন অবশ্য প্রথম নয়। গত বছরও বড়দিনের আগে দেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছিল, মুসলিমরা বড়দিন উদ্যাপনে সামিল হতে পারবেন না। এ বার প্রশাসন বলছে, ব্যক্তিগত ভাবে কেউ বড়দিন উদ্যাপন করতেই পারেন। তা মুসলিমদের সামনে না হলেই হল। ফলে রাস্তায় কেউ সান্তাক্লজের পোশাক পরে, বা নিদেনপক্ষে সান্তা-টুপি পরে ঘুরলেও তাকে গ্রেফতার হতে হবে।
ব্রুনেইয়ে প্রথম শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে। তখনই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও মুসলিম অ-মুসলিম রীতিতে সামিল হলে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। তার পর থেকেই বড়দিন উদ্যাপনেও বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ জারি হয়ে আসছে।
ব্রুনেইয়ের জনসংখ্যার ৮ শতাংশ খ্রিস্টান। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটেও বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘দেশের সর্বত্রই বড়দিনের উৎসব উদ্যাপন করা হচ্ছে।’’ তা সত্ত্বেও বড়দিন উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
এ মাসের গোড়ায় বড়দিন উদ্যাপনে সামিল হলে মুসলিমদের শাস্তির ভয় দেখান দেশের কয়েক জন ইমাম। তাঁদের দাবি, ‘‘বড়দিন উদ্যাপনের সময় কোনও মুসলিম যদি মোমবাতি জ্বালানো, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, ক্যারোল গাওয়া বা খ্রিস্টানদের ধর্মাচরণে সামিল হন, তবে তা ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ বলে গণ্য করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy