ছবি: পিটিআই।
পড়শি বিহার, উত্তর-পূর্বের অসম এবং বাংলারই উত্তর অংশ বৃষ্টি-বন্যায় হিমশিম খাচ্ছে। বর্ষণ নেই শুধু গাঙ্গেয় বঙ্গে। অবশেষে সাময়িক হলেও গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রতি বর্ষা সদয় হতে পারে বলে হাওয়ামোরগের ইঙ্গিত মিলেছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। সৌজন্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা একটি ঘূর্ণাবর্ত। উত্তরবঙ্গে অবশ্য বৃষ্টিপাত অব্যাহত। আজ, বুধবারেও সেখানে ভারী বৃষ্টি হবে। কাল, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমতে পারে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুক্র-শনিবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, ১ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত হিসেবে গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টি-ঘাটতি ৫৫ শতাংশ। আবহাওয়ার ভিত্তিতে মৌসম ভবন দেশকে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে। তার মধ্যে ঘাটতিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গ। প্রথমে সৌরাষ্ট্র (৫৭ শতাংশ ঘাটতি)। ফলে শুক্র ও শনিবার জোর বৃষ্টি হলেও বাংলার ঘাটতি মিটে যাওয়ার আশা নেই। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।
বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু’-এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় ফের দু’-এক পশলা বৃষ্টি মিলতে পারে।
বর্ষার চরিত্র এ বার এমন কেন? আবহবিদেরা বলছেন, বর্ষায় একটি স্থায়ী নিম্নচাপ অক্ষরেখা বা মৌসুমি অক্ষরেখা তৈরি হয়। মাঝেমধ্যেই সেটি স্থান পরিবর্তন করে। কিন্তু সেই অক্ষরেখা এ বার গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থিতু হতে পারেনি। গণেশবাবুর ব্যাখ্যা, থিতু হলে গেলে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ-সহ আরও কিছু অনুকূল পরিস্থিতির প্রয়োজন হয়। এ বার সেটা মেলেনি। আসন্ন ঘূর্ণাবর্ত সেই অক্ষরেখাকে থিতু করতে পারে কি না, সে-দিকেই নজর রাখছেন আবহবিজ্ঞানীরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy