গাজল ব্লক তৃণমূল সভাপতির দীনেশ টুডুর বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে শাসকদলের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ উঠল মালদহের গাজল ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমন অভিযোগ করেছেন শাসকদলেরই একাংশ। এ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তাঁরা। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতির দাবি, দুর্নীতিগ্রস্তরাই এমন করছেন। জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চলছে দাবি করে বিজেপির মন্তব্য, “সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে খাচ্ছে শাসকদলের উপর থেকে নিচুতলার লোকজন।”
মালদহের গাজল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীনেশ টুডুর বিরুদ্ধে বিপুল অর্থের বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ করেছেন ওই ব্লকের শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চক্রবর্তী। অভিষেককে ইমেলের পাশাপাশি, লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি। শুভাশিসের দাবি, ‘‘৩১ ডিসেম্বর জেলা থেকে অঞ্চল সভাপতির একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও এ নিয়ে ব্লক কমিটিতে আলোচনা হয়নি। পরে জানতে পারি, অঞ্চল সভাপতি করিয়ে দেওয়ার জন্য ব্লক সভাপতির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বিপুল অর্থ ঢেলে প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই। তাঁরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, এক-এক জন কমপক্ষে ২ থেকে ২২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ব্লক সভাপতিকে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেলার নেতৃত্ব বলে কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আমরা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ইমেল এবং চিঠি মারফত ঘটনাটি জানিয়েছি।’’ এমনকি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই দলের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
দলের একাংশের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দীনেশ। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। ওঁদের মাথাখারাপ হয়ে গিয়েছে। যাঁরা চাকরির নামে টাকা তুলেছেন, জমি মাফিয়াদের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ রয়েছে, তাঁরাই এ ধরনের মন্তব্য করছেন। জেলা এবং প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বকে এ বিষয়টি জানাব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়নি। আমাদের কাছে প্রার্থীর নাম চেয়ে পাঠানো হয়নি। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এ চেষ্টা চলছে।’’
মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির দাবি, ‘‘তৃণমূলের উপর থেকে নিচুতলা পর্যন্ত পুরোটাই পচে গিয়েছে। টাকা ছাড়া এঁরা কোনও কাজ করে না। তৃণমূলে একটা কর্পোরেট সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। নিচুতলার লোকেরা উপরের লোকদের টাকা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে খাচ্ছে এরা।’’
দলের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে যাঁরা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাঁরা সঠিক কাজ করছেন না। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা দলকে জানাতে হবে। গাজলে দলীয় নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি জানব। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy