নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঋণ দেওয়ার জন্য নতুন তিনটি ব্যাঙ্ক রাজি হয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দেবে। এর ফলে মোট ১০টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবে ছাত্রছাত্রীরা।
মোট ১০টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবে ছাত্রছাত্রীরা।
পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এই পরিষেবা দিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ক্রেডিট কার্ড ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। গত বার নির্বাচনে আগে আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। একটা ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। একটি ছিল কৃষকবন্ধুদের টাকা দেওয়া। পাঁচ থেকে ১০ হাজার করা। দু’হাজার থেকে শুরু করে চার হাজার করা। তিন নম্বর ছিল দুয়ারে রেশন। তৃতীয় ছিল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার গ্যারান্টার। ছাত্রছাত্রীরা ব্যাঙ্কে ঋণ চাইতে গেলে জুতোর সোল ক্ষয়ে যায়। কারণ তারা লোন পায় না। বাবা মাকে নিয়ে যায়। নিজেদের বাড়ি গ্যারান্টি রেখে লোন নিতে হয়। খুব কষ্ট করে ব্যাঙ্কের ঋণ জোগাড় করতে হয়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্কের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি ব্যাঙ্ককর্তাদের বলব। আপনারা মুখ্যসচিব-সহ আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করুন। মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে, মানুষের হাতে টাকা না এলে উন্নয়ন হবে না। এ ক্ষেত্রে তো রাজ্য সরকার দায়বহন করছে।’’ নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঋণ দেওয়ার জন্য নতুন তিনটি ব্যাঙ্ক রাজি হয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দেবে। এর ফলে মোট ১০টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবে ছাত্রছাত্রীরা।
মমতা বলেন, ‘‘খুব সহজ সুদে এই ঋণ দেওয়া হল। এবং ১৫ বছর সময় দেওয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার ছাত্রছাত্রীর ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। আরও ২৫ হাজার ছেলে মেয়ে তাদের প্রভিশনাল ঋণ অনুমোদন হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষায় আরও তাড়াতাড়ি, ঋণ মঞ্জুর হোক আমরা চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দশম শ্রেনি থেকে শুরু করে স্নাতক। স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, ডাক্তারি, গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা এই সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেকে টাকা পয়সার অভাবে লেখা পড়া মাঝ পথেই ছেড়ে দিয়েছে। আজ যদি তাদের কাছে সুযোগ আসে, তাঁরা তা কেন নেবেন না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘১৯৪৭ সাল থেকে দেশ স্বাধীনতার সময় থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোনও সুযোগ সুবিধা ছিল না। যে সুযোগ দিয়ে শিক্ষাকে উন্নত থেকে উন্নততর করা যায়। আমরা এসে ছাত্রছাত্রীদের সুযোগসুবিধা বাড়িয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy