টেট মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি শেষ হলেও আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না মানিক ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি, টেট মামলায় সিবিআই তদন্ত করার যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতেও আপাতত স্থগিতাদেশ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত।
টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক। হাই কোর্ট এই মামলায় তদন্তভার দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। পাশাপাশি মানিককেও পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিক সেই সবক’টি নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদন করেছিলেন। যার শুনানি হয় শুক্রবার।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি। বরং টেট মামলার তদন্তে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। জবাবে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। একই সঙ্গে জানায়, সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অনেককে। সেই তথ্যও উঠে এসেছে তদন্তে।
তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মানিক সুপ্রিম কোর্টে গেলেও, ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষাপর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে গৌতম পালকে নিয়োগ করেছে রাজ্য। অন্য দিকে, প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলায়, ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্র নষ্ট করার ঘটনায় আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে মানিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও, ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষাপর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে গৌতম পালকে নিয়োগ করেছে রাজ্য। অন্য দিকে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলায়, ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্র নষ্ট করার ঘটনায় আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy