মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে মিছিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে বিজেপির যুব মোর্চার তরফে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ির সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ধরে চলে মিছিল। বিজেপি যুব মোর্চার দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ওই মিছিলে। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত, তাপস রায়েরাও মিছিলে ছিলেন। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে দমদমেও একটি মিছিল করে বিজেপি। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাঁটেন ওই মিছিলে।
ভবানীপুরে এই মিছিল করার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আয়োজকেরা। গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট থেকে অনুমতি মেলে এবং সেই মতো শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে ভবানীপুরে করল বিজেপি। মিছিল শেষে বক্তৃতার সময় শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে আসে হাই কোর্টের সেই নির্দেশের প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ আপত্তি না-জানালেও, শুধুমাত্র বিজেপির ক্ষেত্রেই আপত্তি থাকে পুলিশ-প্রশাসনের। তিনি বলেন, “গত শুক্রবার আমি মালদহের মোথাবাড়িতে ছিলাম। আমাকে তো এমনি ঢুকতে দেয় না। হাই কোর্ট করে যেতে হয়। ওদের বন্ধু সেলিম (মহম্মদ সেলিম সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক) যায়, বাধা নেই। শুভঙ্কর (শুভঙ্কর সরকার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি) যায়, বাধা নেই। বাধা শুধুমাত্র বিজেপির আর বিরোধী দলনেতা হলে তো কথাই নেই।”
আরও পড়ুন:
শুধু ভবানীপুরেই নয়, মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মিছিল হয়েছে দমদমেও। শুক্রবারই নিউ টাউনের বাড়িতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দিলীপ। তার পরের দিনই বিকেলে ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। শনিবার দমদমে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন তিনি। বস্তুত, গত সপ্তাহের শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ এবং সিএপিএফ-এর তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ধীরে ধীরে শান্ত হতে শুরু করেছে অশান্তি কবলিত এলাকাগুলি। অশান্তির সময়ে ঘরছাড়া অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মালদহ জেলায়। তাঁদের বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদলও মালদহে গিয়েছে।