প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে সার্বিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রীদের উপর বেশি ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দিতে নারাজ পরিবহণ দফতর। শুক্রবার রাজ্যের আটটি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই বার্তা দিতে চেয়েছে সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি। আগামী সপ্তাহে ভাড়ার হার নিয়ে সরকারকে রিপোর্ট দিতে পারে ওই কমিটি।
এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন রুট সচল করার কথা বলেন আধিকারিকেরা। রুটপিছু বাসের ‘ট্রিপের’ সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলা হয় বাসমালিকদের। রেল এবং মেট্রো সচল হলে বর্ধিত যাত্রীসংখ্যার চাপ সামলাতে বাসের চাহিদা বাড়বে। দূরত্ববিধি মেনেই সব আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হবে। বাসমালিকেরা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হলেও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অন্তরায় হিসেবে দেখাচ্ছেন।
গত ১৫ দিনে পাঁচ টাকার বেশি লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব রুটেই বাসের সংখ্যা কমছে। দ্রুত বর্ধিত ভাড়ার হার ঘোষণা না করলে দীর্ঘ মেয়াদে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া শক্ত বলে বলে জানিয়েছেন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি টিটো সাহা। ডায়মন্ড হারবার, আরামবাগ-সহ কিছু রুটে সরকারি বাস বেশি হওয়ায় বেসরকারি বাস চালানোর নিয়ে মালিকদের আগ্রহ কমছে বলেও রাহুলবাবুর অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে সরকারি এবং বেসরকারি বাসের মধ্যে সংখ্যার সমতা রক্ষার কথাও বলেছেন তিনি।
এ দিনের বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ বললেও জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুর দাবি, ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকলে বাস আরও কমবে। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন মিনিবাস রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবারও নাগেরবাজারে ৩টি মিনিবাস রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy