পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে। রাজ্যে মোট গণনাকেন্দ্র ৩৩৯টি। প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সক্রিয় থাকেন ৮২ জন সদস্য। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। গণনাকেন্দ্রে বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটেন দিন, অর্থাৎ গত শনিবার পর্যন্ত হিংসার অভিযোগ উঠেছে। ভোট পরবর্তী সময়ে অনেক জায়গাতেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বলি ৪১ জন। ভোটের দিনের সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। ভোটের দিন রাজ্যের সব বুথে পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে গণনার দিন ৩৩৯টি কেন্দ্রে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় হবে ভোটগণনা।
আরও পড়ুন:
ভোট নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ব্যালট বাক্স লুটের অভিযোগও উঠেছে। সে কারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোটগণনার সময় ব্যালট পেপারের বৈধতা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া এবং তার পিছনে রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া সেগুলি গণ্য করা হবে না।
মঙ্গলবারের মধ্যেই গণনা শেষ হওয়ার কথা। যদি তা না হয়, তবে গণনার কাজ টানা চলবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। বাকি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও তিন রাউন্ড। প্রতি গণনাকেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া প্রতি জেলায় থাকবেন এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে গণনা।