বগটুই-কাণ্ডে পুলিশকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে সরকারের মুখ পুড়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে প্রশ্নও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে ভর্ৎসনাও করেন তিনি। মমতার মতে, ভাদু শেখ খুনের রাতে প্রত্যাঘাত হতে পারে, এই আশঙ্কা করে পুলিশ আধিকারিকেরা যদি ঘটনাস্থলে যেতেন তা হলে সরকারের মুখ পুড়ত না।
বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান। নগেন্দ্রকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘দুবরাজপুর ঠিক আছে? ল অ্যান্ড অর্ডার?’’ উত্তরে নগেন্দ্র বলেন, ‘‘দুবরাজপুর এখন ঠিক আছে ম্যাডাম। একমাত্র রামপুরহাটে যে ঘটনা ঘটেছে তা ছাড়া বাকি জেলা ঠিক আছে।’’ এই উত্তরে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই মমতা পাল্টা বলেন, ‘‘রামপুরহাটের ঘটনা ঘটত না যদি সে দিন ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেতেন।’’ সঙ্গে সঙ্গে নগেন্দ্র গত ২১ মার্চ তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু খুন হওয়ার রাতে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। জবাব দেন, ‘‘ওঁরা ওখানে গিয়েছিলেন...’’ নগেন্দ্রর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমাদের গাফিলতির জন্য এটা হয়েছে। যে কোনও ঘটনা ঘটলে তার একটা প্রত্যাঘাত হতে পারে। এইটুকু বুদ্ধি তোমার নেই? তোমার পাশেই অফিসার। তুমি দেখছ তোমার চোখের সামনে? একটা দেশলাই দিয়েই তো আগুন লাগিয়ে দেওয়া যায়।’’ এর পর নগেন্দ্র স্বীকার করে নেন, ‘ভুল’ হয়েছে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘অনেক ভুল করেছে। সে জন্য সরকারের মুখ পুড়েছে। তোমাদের জন্য আমার ফেস লস কেন হবে? তুমি জানো ওখানে তারাপীঠ পাশেই। তারাপীঠে কত মানুষ যায়। ওখানে তারাপীঠ পুলিশ স্টেশন আছে না? সেটাকে আরও সক্রিয় করো।’’
গত ২১ মার্চ রাতে খুন হন ভাদু। ওই রাতেই বগটুইয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ন’জনের। ওই ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy