Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন

মেয়ে তো রাজি ছিলই না, নাবালিকার মেয়ের বিয়েতে মত ছিল না বাবা এবং অন্য আত্মীয়দের। আপত্তি তুলেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশও। কিন্তু সকলকে অন্ধকারে রেখে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে নিজের বোনপো’র বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মা। খবর পেয়ে সেই বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। ঘটনাস্থল ময়ূরেশ্বর। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির তিন মেয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০০:১৩
Share: Save:

মেয়ে তো রাজি ছিলই না, নাবালিকার মেয়ের বিয়েতে মত ছিল না বাবা এবং অন্য আত্মীয়দের। আপত্তি তুলেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশও। কিন্তু সকলকে অন্ধকারে রেখে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে নিজের বোনপো’র বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মা। খবর পেয়ে সেই বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। ঘটনাস্থল ময়ূরেশ্বর।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির তিন মেয়ে। বড় মেয়ে থাকে গ্রামেই তার পিসিমার বাড়িতে। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে বাইরে ঘোরেন। বাকি দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মা। ১৪ বছরের মেজ মেয়েটি ময়ূরেশ্বর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বুধবার ওই নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার মা। এই খবর মেয়েটির দিদি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মাধ্যমে ময়ূরেশ্বর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিনা রায়কে জানায়। মা বাদ দিয়ে বাকিদের আপত্তির কথা জেনে রিনাদেবী সকলকে নিয়ে পৌঁছন ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও-র কাছে। এর পরেই পুলিশ-প্রশাসনের লোকজন মেয়েটির মা’কে বুঝিয়ে বিয়ে আটকে দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে ওই বধূ মুচলেকা দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গ্রামের বধূরা বলেন, “আমাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল। তখন এত নিয়মের কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু নিজেদের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, নাবালিকা বিয়ে কোন দিকেই সুখকর নয়। কিন্তু পড়শি বধূকে আমরা এ ব্যাপারে অনেক বুঝিয়েছি। এর পরেও কেন মেয়েটির বিয়ে দিচ্ছিল জানি না।” মেয়েটির মা অবশ্য বললেন, “ওর বাবা বাইরে বাইরে ঘুরে থাকে। মেয়ে ভাল থাকবে এই ভেবে বোনপো’র সঙ্গে বিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। মেয়েই যখন চাইছে না, তখন কী করা যাবে।” বিডিও সৈয়দ মাসুদুর রহমান বলেন, “মেয়েটি ও তার পরিবারকে বলা হয়েছে পড়াশুনোর জন্য প্রশাসনের যতটুকু সহযোগিতা করার তা করা হবে। ফের তার বিয়ে উদ্যোগী হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” মেয়েটির কথায়, “মা ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে স্কুল ছাড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমি পড়াশোনো করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।”

জেল হাজত। এক বধূর উপর যৌন নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগে পড়শি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ আবু সঈদ। দুবরাজপুর থানা এলাকায় তার বাড়ি। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি সোমবার রাতের। পরের দিন অভিযোগের ভিত্তিতে আবু সঈদকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mayureswar teenage marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE