মাঠে নেমে প্রচার তো চলছেই। এ বার জমি পোক্ত করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও কোমর বেঁধে নামল তৃণমূল। ফেসবুকে তৃণমূলের গ্রুপ ‘সাইবার কমব্যাট ফোর্স’ (টিসিসিএফ)-এর সক্রিয়তা বাড়াতে রবিবার বাঁকুড়ায় একটি কর্মশালা হয়েছে। শহরের সতীঘাট বাইপাস এলাকার একটি লজে ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুরার প্রাক্তন বিধায়ক মিনতি মিশ্র প্রমুখ।
এ দিন টিসিসিএফ ফেসবুক গ্রুপের বাঁকুড়ার ‘অ্যাডমিন’ করা হয়েছে শৈলেন ভট্টাচার্যকে। তাঁর সঙ্গে মডারেটর হিসেবে আরও দুই সদস্য অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং সন্তু মুখোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে। শৈলেন বলেন, “ফেসবুকে টিসিসিএফ গ্রুপটি ২০১৭ সাল থেকেই রয়েছে। তবে সক্রিয়তা তেমন ছিল না। রাজ্য থেকে গ্রুপটিকে সক্রিয় করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য এ দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।” চলতি মাসেই কলকাতায় কেন্দ্রীয় ভাবে টিসিসিএফ নিয়ে তৃণমূল একটি কর্মশালা করার প্রস্তুতিও হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
শৈলেন জানান, জেলার মতো প্রতিটি ব্লক এবং অঞ্চল থেকেও গ্রুপের এক জন অ্যাডমিন ও দু’জন মডারেটর রাখা হবে। গ্রুপটিতে রাজ্য জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জেলার সদস্যই ৩০ হাজার। শৈলেন বলেন, “গ্রুপটিতে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লক্ষাধিক সদস্য আনাই আমাদের লক্ষ্য।”
ঘটনা হল, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আগে থেকেই সক্রিয় বিজেপির আইটি সেল। ওই সেলের তরফে বিজেপির বিভিন্ন জিনিস ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়। বিজেপির আইটি সেল থেকে নানা মিথ্যা রটনা প্রচার করা হয় বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এ দিনের কর্মশালাতেও বিষয়টিকে নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তিনি বলেন, “বিজেপি নানা অপপ্রচার আর কুৎসা ছড়াচ্ছে ইন্টারনেটে। ওই সবের যোগ্য জবাব দেওয়া দরকার।” অরূপ যুক্ত করেন, “এখনকার যুগে প্রযুক্তির একটা বিশেষ জায়গা রয়েইছে। আমরা নিশ্চিত, দলীয় প্রচারেও টিসিসিএফ একটা বড় ভূমিকা নেবে।’’
শৈলেন জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের সাফল্য, বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি টিসিসিএফের মাধ্যমে সভা, মিছিলের মতো দলের নানা কর্মসূচির প্রচারও চলবে। তবে ফেসবুকের পাতা ছাড়িয়ে ট্যুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রচারেও জোর দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “ট্যুইটার ব্যবহারের চল এই জেলায় কম। ইতিমধ্যেই আমরা অনেকেই টুইটারে নিজেদের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছি। ধীরে ধীরে সেখানেও সক্রিয় হচ্ছি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে।”
বিজেপির রাজ্য নেতা সুভাষ সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের কর্মকাণ্ড এখানকার মানুষ নিজের চোখে দেখেছেন। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন তৃণমূল একটা অগণতান্ত্রিক দল। ওরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার চালালেও মানুষ ওদের বিশ্বাস করবে না।” বিজেপির আইটি সেল থেকে গুজব ছড়ানো হয় বলে তৃণমূল যে অভিযোগ তুলেছে, সেটা মানতে চাননি সুভাষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy