অকালে: বিবেক এবং দেবশেখর। নিজস্ব চিত্র
বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল মোটরবাইক আরোহী দুই যুবকের। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। মঙ্গলবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার সতীঘাট চৌমাথা মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতেরা হলেন কেশিয়াকোলের বাসিন্দা বিবেক পাত্র (২২) ও দেবশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩)। দু’জনেই তৃণমূলের ছাত্রনেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুর দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার কামরার মাঠ এলাকা থেকে ওই দুই যুবক ফিরছিলেন। মোটরবাইকটি বিবেকের। তিনিই চালাচ্ছিলেন। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর বাইপাসে জুনবেদিয়ার দিক থেকে আসা একটি বাস সতীঘাটের চৌমাথার কাছে তাঁদের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। বিবেক ছিটকে পড়েন। দেবশেখর চাপা পড়েন বাসের তলায়। পুলিশের টহলদারি ভ্যান গিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে। দুই যুবকের পকেটে পরিচয়পত্র দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়।
পুলিশের দাবি, ওই দুই যুবকের মূল চোট ছিল মাথায়। ফলে, হেলমেট পরা থাকলে প্রাণহানি এড়ানো যেত বলে মনে করছেন কিছু পুলিশকর্মী। এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘পুলিশের পক্ষ থেকে হেলমেট পরার জন্য পইপই করে বলা হচ্ছে। না পরলে জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও সবাই সচেতন হচ্ছেন না।’’
দেবশেখর ও বিবেকের বন্ধু, শহরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা সঞ্জীবন গোস্বামী বলেন, ‘‘বিয়েবাড়িতে একসঙ্গে কত আনন্দ করলাম। আমার একটু আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম। সেটাই যে শেষ দেখা হয়ে যাবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’
বুধবার ওই দুই যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, পড়শিরা বাইরে ভিড় করেছেন। থমথম করছে পরিবেশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দলের কর্মীদের মধ্যেও। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শিবাজী বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেবশেখর ও বিবেক খুব ভাল এবং দক্ষ সংগঠক ছিল। ওদের এই আকাল মৃত্যুতে দলের অনেক ক্ষতি হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy