নিয়মে বাঁধা পড়তেই শহরের রাস্তা থেকে যেন উবে গেল টোটো!
অন্তত দুর্গাপুজোর আগে শেষ রবিবারের ছবিটা সে কথাই বলছে। তার জেরে ছুটির দিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা পুরুলিয়া শহরে বাজার সারতে বা কেনাকাটা করতে এসেছিলেন, তাঁদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শনিবারই জেলা প্রশাসন শহরের পথে চলা হাজার খানেক টোটোর রুট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর প্রতিবাদেই এ দিন তাঁরা টোটো পথে নামাননি— জানাচ্ছেন টোটো চালকদের একাংশই।
নানা বিতর্ক ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ভাবে টোটো চলাচলের স্বার্থে প্রশাসন ইতিমধ্যেই ১৩টি রুট স্থির করেছে। এই রুটগুলিতেই টোটো চলাচল করবে বলে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে।
এত দিন শহরের রাস্তায় যাতায়াতের মূল মাধ্যম ছিল যে রিকশা, এ বার তাদের জন্যও রুট তৈরির ক্ষেত্রে ভাবা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। প্রস্তাবিত রুট পুরসভা থেকেই তৈরি করে প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়ার পুরপ্রধান কে পি সিংহদেও জানিয়েছেন, রুট বাঁধার পরে টোটোর ভাড়াও ঠিক করে দেওয়া হবে। কোন স্টপ থেকে কত ভাড়া, তা বোর্ডে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারটা টোটো চালকদের মাথায় রাখতে হবে। সুষ্ঠু ভাবে শহরের রাস্তায় যাতে টোটো চলাচল করতে পারে, তাই আমরা রুট তৈরি করে দিয়েছি। সেই রুটেই চালাতে হবে।’’
শনিবার মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠে টোটো চালকদের ডেকে রুট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করে প্রশাসন। যে রুটে বেশি দাবিদার থাকবে, সেখানে লটারির সাহায্যও নেওয়া হবে।
জেলা পরিবহণ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘শহরের পথে টোটো চলুক। আমরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছি যাত্রীদের স্বার্থে। কিন্তু টোটো চালকদেরও কিছু বিধি মানতে হবে। সুষ্ঠুভাবে টোটো চলাচলের জন্যই রুট তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া টোটো চালকদেরই নিজেদের পছন্দমতো রুট বেছে নিতে বলা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা মানতে হবে।’’
প্রশাসনের এই রুট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টিতে তাঁদের অবস্থান কী হবে, তা ঠিক করতে টোটো চালকেরা রবিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, চালকদের মধ্যেই রুটের বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
যাঁরা তুলনামূলক ভাবে কম লাভের রুট পেয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য, ভাল রুটগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজেদের মধ্যে বদলাতে হবে।
টোটো চালকদের সংগঠনের মুখপাত্র জ্যোতি সহিস বলেন, ‘‘এ দিন আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছিলাম কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য। তাই এ দিন রুটে টোটো নামানো যায়নি।’’
তিনি জানান, তাঁরা নিজেদের মধ্যে একটি কমিটি গড়েছেন। রুট নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁদের রয়েছে। রুটে বেঁধে দিলে অনেক টোটোরই দিনভর রাস্তায় থেকেও পোষাবে না। তা ছাড়া কোনও টোটো চালক রিজার্ভ পেলে তিনি নিয়ে যেতে পারবেন কিনা, এ সব প্রশ্ন রয়েছে। প্রশাসন বৈঠকে ডাকলে এই বিষয়গুলি তাঁরা তুলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy