বিষ্ণুপুরে এই পোস্টারকে ঘিরে শোরগোল। ডান দিকে, বিজেপি-র পদাধিকারীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
পুর ভোটের আগে অন্তর্কলহে জেরবার বাঁকুড়া বিজেপি। রবিবার কোথাও পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। আবার কোথাও পদত্যাগ কললেন দলীয় পদাধিকারীরা।
সম্প্রতি দুই জেলা সভাপতিকে বদল ঘিরে অন্তর্কলহের আবহ তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুল মোড় লাগোয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। সাদা কাগজের উপর ছাপার অক্ষরে লেখা, ‘বিজেপি-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভপতিকে মানছি না, মানব না।’ ‘বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কর্মিবৃন্দ’-এর তরফে ওই পোস্টার দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপি-র বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি উত্তম সরকারের কথায়, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা নয়, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এমন পোস্টার দিয়েছে তৃণমূল।’’ আবার তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এটা বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিষয়। নেতৃত্বের প্রতি হতাশ হয়েই বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে এমন দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন।’’
রবিবারই বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের লোহাগড় মোড়ে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে দলের সমস্ত পদ ছেড়েছেন বিজেপি-র ছাতনা এক নম্বর মণ্ডলের সভাপতি-সহ এক ঝাঁক পদাধিকারী। বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ ওই অংশের দাবি, ছাতনা এক নম্বর মণ্ডলের সভাপতি জীবন মণ্ডল পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি ওই মণ্ডলের অধিকাংশ সদস্য, বুথ সভাপতি এবং শক্তি কেন্দ্র প্রমুখও দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা ১৪০ জন।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি বীরভূমেও বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরেছে। দুবরাজপুর শহরে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি যে কমিটি গঠন করেছে। গত ২২ জানুয়ারি ওই কমিটির তিন আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করেন বিজেপি-র বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। সেই কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক স্বরূপ আচার্য রবিবার তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে জানিয়ে দেন। দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও জানান স্বরূপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy