বিক্ষোভ: বিশ্বভারতীতে প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতীর শারীর শিক্ষা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে অভ্যন্তরীণ ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে ভাষা বিদ্যাভবনে অবস্থান বিক্ষোভে বসল ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিনয়ভবনের অধিকর্তা সবুজকলি সেনের দফতরের বাইরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘বিশ্বভারতীর সব বিভাগে অভ্যন্তরীণ পড়ুয়াদের আসন সংরক্ষণ থাকলেও শারীর শিক্ষা বিভাগে কোনও সংরক্ষণ নেই।’’ এই শিক্ষাবর্ষে স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে ১১ জন ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ জন অভ্যন্তরীণ পড়ুয়া সুযোগ না পাওয়ায় বিক্ষোভে সামিল হন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনের অধিকর্তা সবুজকলি সেন বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের দাবিটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব।”
বিশ্বভারতীর শারীর শিক্ষা বিভাগের স্নাতক স্তরে ৫০টি আসন রয়েছে। এই বিভাগে ভর্তির জন্য ৩৮ জন অভ্যন্তরীণ পড়ুয়ার মধ্যে এই শিক্ষাবর্ষে ১১ জন ভর্তির সুযোগ পায়নি। একই ভাবে, স্নাতকোত্তর স্তরে ৪০টি আসন রয়েছে। এ বার অভ্যন্তরীণ ৩৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৫ জন ভর্তির সুযোগ পায়নি। জানা গিয়েছে, এই বিভাগে ভর্তির জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা প্রতি বছর হয়ে থাকলেও অভ্যন্তরীণ ছাত্রছাত্রী সকলকেই ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হত। কিন্তু, এ বছর দুটি স্তরেই ১৬ জন আভ্যন্তরীণ পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর প্রতিটি বিভাগেই অভ্যন্তরীণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে। শুধুমাত্র শারীর শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত কোনও সংরক্ষণ নেই। এ দিন, দুপুর ২টো থেকে সবুজকলি সেনের দফতরের বাইরে অভ্যন্তরীণ পড়ুয়াদের ভর্তির দাবিতে হাতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। পরে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ উঠে যায়।
বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের তরফে অচিন্ত্য বাগদি বলেন, “সব বিভাগে ইন্টারনাল কোটা চালু থাকলেও শারীর শিক্ষা বিভাগে নেই। এই কোটা চালু করতে হবে। এছাড়া, ১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে এই বছর ভর্তি নিতেই হবে কর্তৃপক্ষকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy