প্রতীকী ছবি।
মজুত করে রাখা চোরাই কয়লা উদ্ধারে গিয়ে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। লোকপুর থানার নওপাড়া গ্রামের ওই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ। ডেপুটি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন থানার পুলিশ মিলিত অভিযান চালিয়ে ওই আট জনকে ধরে। ধৃতদের প্রত্যেকেই নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে শনিবার তাদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন। তবে, হামলার মূল পান্ডারা এখনও পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে খবর। জেলার এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সকলে ধরা না-পড়া পর্যন্ত লাগাতার অভিযান চালানো হবে।
চোরাই কয়লা উদ্ধারকে ঘিরে শুক্রবার জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে তেতে উঠেছিল নওপাড়া। গ্রামবাসীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে জখম হন দুই থানার ওসি-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম বা পিডিসিএলের একটি ডাম্পারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও তুলেছিলেন গ্রামের মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিডিসিএলের অধীনে থাকা দু’টি খোলামুখ খনি গঙ্গারামচক ও কৃষ্ণপুর বড়জোড় থেকে কয়লা চুরির অভিযোগ রয়েছে। সেই চোরাই কয়লা গ্রামের কাছাকাছি রাস্তার ধার ঘেঁষা জঙ্গলে মজুত করে রেখেছিল নওপাড়া গ্রামের বেশি কিছু কয়লা কারবারি। সেই কয়লা উদ্ধারে কাঁকরতলা , খয়রাশোল ও লোকপুর থানার পুলিশ মিলিত অভিযান চালায় শুক্রবার দুপুরে। তখনই গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘাত বাধে। শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। তবে, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর নির্দেশ মেনে শুক্রবার রাতভর ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) মহতাসিন আখতারের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ওই তিন থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয় আট জন। অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শনিবার নওপাড়া গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য ছিল। গ্রাম ঘেঁষা সেচখালের পাড়ে পড়েছিল আগুনে পুড়ে যাওয়া পিডিসিএলের ডাম্পারটি। তবে, আগের দিন সেভাবে মুখ না খুললেও এ দিন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, শুক্রবার হামলা চালিয়েছে পুলিশ।তা তে বেশ কয়েক জন জখন হয়েছেন। রাতে গ্রামে এসে নিরীহদের ধরেছে। পুলিশ আসল অপরাধীদের ধরুক।
কিন্তু, এই পুলিশ অভিযানকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। কয়লা চুরি বা অবৈধ কয়লার কারবার নতুন কিছু নয়। যে গ্রামে ঝামেলা হয়েছেল সেখানে অন্তত ১০০ জন এই কারবার চালায় বলে পুলিশের কাছেই খবর ছিল। গ্রামে এখনও বিভিন্ন জায়গায় কয়লা মজুত। এত দিন পরে কেন হঠাৎ অভিযান চালাল পুলিশ—সে প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy