Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মিটল দ্বন্দ্ব, চালু মিড-ডে মিল

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কারা রান্না করবেন এই নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে বিবাদে বছর দুইয়ের বেশি মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ ছিল। বুধবার মিটল সেই বিবাদ। ফের চালু হল মিড-ডে মিল। ঘটনা ময়ূরেশ্বর থানার বিরাজপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০০:২২
Share: Save:

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কারা রান্না করবেন এই নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে বিবাদে বছর দুইয়ের বেশি মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ ছিল। বুধবার মিটল সেই বিবাদ। ফের চালু হল মিড-ডে মিল। ঘটনা ময়ূরেশ্বর থানার বিরাজপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

এ দিন সকালে গ্রামবাসীদের একাংশ এবং এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব স্কুলে বন্ধ থাকা মিড-ডে মিল চালু করার দাবিতে সরব হন। তাঁদের সঙ্গে বিবাদমান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও সামিল ছিলেন। সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারন সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের সহ সভাপতি মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুগত মণ্ডল, শ্যামল লেটরা স্কুলে উপস্থিত হন। তাঁরাও স্কুলে মিড-ডে মিল দু’বছর কেন বন্ধ থাকার ব্যপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব চান। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষককে আন্দোলনরত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা অফিস ঘরের মধ্যে তালাবন্দি করে দেন। এবং যতক্ষন প্রশাসনের লোকজন স্কুলে এসে মিড-ডে মিলের রান্নার সুরাহা না করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তালা খোলা যাবে না বলে আন্দোলন চালান তাঁরা।

স্বনির্ভর দলের সদস্যা আলপনা লেট, বুলু রুইদাসদের অভিযোগ, দু’ বছর আগে গ্রামের একটি স্বনির্ভর দল যাদের দলের কোনও অস্তিত্ব নেই। তারা গ্রামের অন্যান্য সাতটি স্ব নির্ভর দলের সদস্যদের বঞ্চিত রেখে একা স্কুলে জোর করে মিড-ডে মিল রান্না করছিল। বিবাদের শুরু তখনই। অন্যান্য সদস্যদের রান্না করার দায়িত্ব দিতে হবে এই দাবি করলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের মদতে মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হয় বলে বিজেপি নেতা অতনু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ। এতে স্কুলের একচল্লিশ জন পড়ুয়া মিড-ডে থেকে বঞ্চিত হয়।

প্রধানশিক্ষক অনুপ সাহা বলেন, ‘‘স্কুলের মিড-ডে মিলের প্রথম থেকে একটি স্বনির্ভর দলের উপর দায়িত্বে ছিল। পরে গ্রামের অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যরা রান্না করার দায়িত্ব নিতে চাইলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ঝামেলায় মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে যায়।’’ এদিকে স্কুলে প্রধান শিক্ষককে অফিস ঘরে তালা বন্ধ রাখার খবর পেয়ে স্কুলে পুলিশ পৌঁছলেও আন্দোলনকারীরা প্রথমে তালা খোলেননি। পরে ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও দেবজ্যোতি বড়াল এলে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যায়। প্রধানশিক্ষককে তালা খুলে মুক্তি দেওয়া হয়। গ্রামের আটটি দলের সদস্যদের রোটেশন করে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Mid day meal Group clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy