স্কুলের মিড-ডে-মিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ বার গোষ্ঠী বিবাদের জেরে ফের উত্তেজনা ছড়াল নানুরে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরার পাঁচ অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কাজল শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ নানুরের সন্তোষপুরের ঘটনা। আহতদের নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। তিন জনের মাথা ফেটেছে বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানেননি। এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগও হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এত দিন সন্তোষপুর স্কুলের মিড-ডে মিল পরিচালনার দায়িত্ব ছিল গ্রামের কাজল অনুগামীদের হাতে। বিধানসভা ভোটে সিপিএমের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে গদাধরকে হারানোর অভিযোগ ওঠে কাজল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ভোট মিটতেই দলীয় স্তরে কালজকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সভাপতি বদল করে কাজলের নিয়ন্ত্রণে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে গদাধর গোষ্ঠী। ওই স্কুলের মিড-ডে মিলের নিয়ন্ত্রণও গদাধর অনুগামীরা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। তার জেরেই দুই মহিলা-সহ ৫ গদাধর অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কাজল অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
এ দিন বহু চেষ্টা করেও গদাধরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছিল। আমাদের লোকেরা তার প্রতিবাদ করায় ওরা মারধর করেছে।’’ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনন্দ ভট্টাচার্য। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’’ এ দিন প্রতিক্রিয়া মেলেনি কাজলেরও। তবে, তাঁর এক অনুগামী দাবি করেছেন, ‘‘একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করতে গদাধরের অনুগামীরাই প্রথমে ঝামেলা বাঁধাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কোন পক্ষই এখনও পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy