Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Control Mortality Rate

কোভিডে মৃত্যুর হার কমাতে তৎপরতা

স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রতি রবিবার স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন জেলার চিকিৎসকরা।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০২:১১
Share: Save:

কোভিডে মৃত্যুর হার কমানোর জন্য গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ করল রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা প্রশাসন। সরকারি চিকিৎসক-সহ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও বেসরকারি চিকিৎসকদের কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে।স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রতি রবিবার স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন জেলার চিকিৎসকরা। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখন শতকরা ৭৮ শতাংশ রোগী নিজেদের বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সরকারি চিকিৎসক-সহ আইএমএ-র চিকিৎসক ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিৎসকদের যুক্ত করতে চাইছেন। সেই কর্মসূচিতে রাজ্যের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য জেলাতেও গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু হয়েছে।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকা করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের ব্যপারে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নেবেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের নামের তালিকা চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে চিকিৎসকদের সপ্তাহে একদিন, রবিবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মার্চ মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, জুলাই মাসে ৪ জনের, আগষ্ট মাসে ৬ জনের, সেপ্টেম্বর মাসে ১০ জন এবং অক্টোবর মাসে ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নলহাটি ১ ব্লকে সবথেকে বেশী ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, মৃতদের মধ্যে বেশীর ভাগ বয়স্ক এবং তাঁদের অন্য শারীরিক সমস্যা ছিল। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ। তাঁর কথায়, ‘‘মৃত্যুর হার সেই অর্থে উদ্বেগজনক না হলেও তা ১-এর নীচে নামাতে হবে। সেই কারণে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি, আইএমএ সংগঠনের সঙ্গে চিকিৎসক, প্রাইভেট চিকিৎসকদের এক হয়ে কাজ করার জন্য পদক্ষেপ হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy