থানা ঘেরাও। নিজস্ব চিত্র
শিমুলিয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এ বার পথে নামল বিজেপি।
বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় যাওয়ার পথে বোলপুরের শিমুলিয়া মোড়ে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো ও বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন একজন বিজেপি কর্মী। ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি-সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার বোলপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে এবং বৃহস্পতিবার ছ’জনকে গ্রেফতারও করেছে।
যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা সকলেই তাঁদের দলের কর্মী। এটা লোক দেখানো গ্রেফতাির। শিমুলিয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা সহ একাধিক দাবিতে এ দিন বোলপুর ব্লকের বিজেপি ও যুব মোর্চার তরফে বোলপুর রেল ময়দান থেকে একটি মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা বোলপুর থানা পর্যন্ত যান। শিমুলিয়া ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। পরে বোলপুর থানায় চার দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর বিধানসভার কনভেনার তথা জেলা কমিটির সদস্য রাজেশ সেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল। বলাইবাবু বলেন, “শিমুলিয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার না-করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘শান্ত পশ্চিমবঙ্গকে বিভিন্ন জায়গায় অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেখানেও একই ভাবে শিমুলিয়ার ঘটনাই প্রতিফলিত হচ্ছে। যদি অভিযোগ সত্যি হবে, তবে কেন দু’দিন পরে প্রতিবাদে নামতে হল বিজেপিকে?’’
শিমুলিয়া-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার আরও দুই’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy