সেতু সংস্কার না হওয়ায় মাঝে মধ্যে উল্টে যায় যানবাহন। নিজস্ব চিত্র।
বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে রাস্তা চওড়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তার উপরে একটি সেতু তার পুরনো অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা বারবার আবেদন করলেও সিউড়ি-সাঁইথিয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওই সেতু সংস্কার করা হচ্ছে না। অথচ সরু ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে হামেশাই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় মাঠপলসা এলাকায় রোঙ্গাইপুর পূর্ব বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এমবিবিসি (ময়ূরাক্ষী বক্রেশ্বর ব্রাঞ্চ কালভার্ট) নামে পরিচিত সেচখালের ওই সেতু চওড়া করার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার পথ অবরোধ অবধি করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাঁইথিয়া-সিউড়ি (ভায়া ইটাগড়িয়া) রাস্তাটি বহু প্রাচীন। সেই সময়ের চাহিদা মতো একটি মাত্র গাড়ি যাতায়াত করতে পারে এ রকম প্রস্থের ওই রাস্তা তৈরি করা হয়। ওই রাস্তার উপর যে সব খাল পড়েছিল, তার উপরে সেতু নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যেই রোঙ্গাইপুর পূর্ব বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সেচখালের উপর (দু’নম্বর চেন, বিওয়াই ৪/১ কালভার্ট) একটি গাড়ি যাতায়াতের মতো আকারের কালভার্ট বা সেতু তৈরি করে পূর্ত দফতর (সড়ক)। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে, ওই রাস্তার উপরে গাড়ি চলাচল বেড়েছে। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কার ও চওড়ার দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। সেই দাবি মেনে বেশ কিছুদিন থেকে রাস্তা চওড়া ও সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর (সড়ক)। রোঙ্গাইপুর এলাকার বাসিন্দারাদের জানান, এই রাস্তা এখন অনেকটা চওড়া করা হয়েছে। অন্যান্য কালভার্ট বা সেতুগুলিও চওড়া করা হয়েছে। রাস্তার এ দিকের কাজও এক রকম শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ এই কালভার্টটি চওড়া করা হয়নি। ফলে ওই সেতুর কাছে প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। রোঙ্গাইপুরের বাসিন্দা শেখ ফিরোজ, শেখ সামসুজ্জোহা, শেখ আবুল কালাম, শেখ কুদ্দুসরা বলেন, “এই রাস্তার উপর বরাবর গাড়ির চাপ বেশি। সম্প্রতি রাস্তাটি চওড়া ও ভাল হওয়ায় সে চাপ আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। বহু ভারী গাড়িও যাতায়াত করছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা চওড়া করার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সমস্ত কালভার্ট বা সেতুও রাস্তা অনুযায়ী চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে রোঙ্গাইপুরের সেতুটা যেমন ছিল, তেমনই রেখে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এমনটা হল, তা কেউ-ই বুঝতে পারছেন না। ফিরোজরা বলছেন, “রাস্তা চওড়া ও ভাল হওয়ার কারণে অসংখ্য ছোট-বড় ও ভারী গাড়ি দ্রুত এসে সেতুর কাছে মুখ থুবড়ে পড়ছে। কেউ কেউ টাল সামলাতে না পেরে সেতুর সেচ খালে মুখ থুবড়েও পড়ছেন।” তাঁদের আরও দাবি, দিন তিনেক আগেই ওই সেতুতে দুর্ঘটনায় পড়ে চার জন গুরুতর জখম হয়েছে। এই রোঙ্গাইপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, স্কুল থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই এই এলাকা ভীষণ ব্যস্ত। কিন্তু এমন সেতুর কারণে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা।
পূর্ত দফতরের (সড়ক) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র দেবাশিস সরকারের যুক্তি, “যেহেতু ওই সেতুটি সেচখালের উপরে তাই আমরা হাত দিইনি।” অন্য দিকে, সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুজিত কোনার বলেন, “এ ব্যাপারে যা বলার দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারই বলবেন।” সেচ দফতরের সাঁইথিয়ার এসডিও সন্দীপ দাস বলেন, “ওই সেতুর ব্যাপারে ইতিমধ্যে কাজের খরচের আনুমানিক হিসেব করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy