প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষকের। শুক্রবার দুপুরে বাইপাসের কাছে একটি নার্সিংহোমে ধীমানকান্তি মল্লিক (৪০) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বাড়ি হাবড়ার প্রতিভা প্রেস এলাকায়। শ্বেতপুর প্রাথমিক স্কুলে পড়াতেন তিনি।
ধীমানের মৃত্যু শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। এই নিয়ে হাবড়ায় জ্বর-ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল মোট পাঁচ জনের। আগের ঘটনাগুলিতে কোথাও মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ না থাকলেও সকলেই ভুগছিলেন জ্বরে। পরিবারের দাবি, প্রথম স্থানীয় ভাবে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল। ধীমানের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কে প্রতিবেশীরা। পুরসভার ভূমিকায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।
ধীমানের পুরো পরিবারই ক’দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। ধীমান, তাঁর স্ত্রী শম্পা, ছেলে স্বর্ণাভ, ও শাশুড়ি ছবি রায়চৌধুরী কদম্বগাছি এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ধীমান ছাড়া সকলেই ২৭ জুলাই ছাড়া পান। কিন্তু ধীমানের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে ২৯ জুলাই নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের কাছে ওই নার্সিংহোমে। সেখানেই মারা যান তিনি।
শম্পার কথায়, ‘‘সরকার সঠিক পদ্ধতি মেনে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পদক্ষেপ করুক। আমাদের এখানে মশা মারার কাজ হয়নি। শুনেছি যখন নার্সিংহোমে ছিলাম, তখন একদিন এলাকায় ধোঁয়া ছড়ানো হয়েছিল।’’
পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন ধীমান। তাঁর মৃত্যুর পরে কী ভাবে সংসার চালাবেন, বুঝতে পারছেন না শম্পা। তাঁর কথায়, ‘‘স্বামীর চিকিৎসা করাতে সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন। না হলে সংসারটা ভেসে যাবে।’’ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে এ দিন হাবড়া পুরসভায় গিয়ে দেখা করে চাকরির আবেদন করেছেন শম্পা। জ্যোতিপ্রিয় তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy