নেতাদের একাংশ জমির কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন, এই অভিযোগে দল থেকে ইস্তফা চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন দার্জিলিং জেলার অন্যতম তৃণমূল নেতা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত অরবিন্দ ঘোষ। তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার অরবিন্দবাবুর বাড়ি গেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এক পক্ষ মনে করছেন, ‘মান ভাঙাতে’-ই এ দিন মন্ত্রী অরবিন্দবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অন্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সমালোচনা করে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণার পরে অরবিন্দবাবুর নামে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেছেন, “সৌজন্য সাক্ষাৎ। ওঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি ডাকলে তিনি এর মধ্যে আমার বাড়িতেও এসেছিলেন। আমি এ দিন তাঁর বাড়ি যাই। অন্য কোনও ব্যাপার নেই।” অরবিন্দবাবু কী দলে ফিরছেন? তাঁর ইস্তফা কী গ্রহণ করা হয়েছে? এ সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। এ দিন সকালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লিতে অরবিন্দবাবুর বাড়িতে যান। সেখানে ১ ঘণ্টা কাটান। দলেরই একাংশের মত, রাজ্য নেতৃত্ব সম্প্রতি জেলা কমিটিতে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তাতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর অন্যতম ছায়া সঙ্গী অরবিন্দবাবুকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ বিধানসভা ভোট থেকে বিধায়ক এলাকার উন্নয়ন কাজ সব ক্ষেত্রেই মন্ত্রীর অরবিন্দবাবুর উপর নির্ভর করতেন। দলেও বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আচমকা অরবিন্দবাবুর দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করাতে তাই অনেকেই হতবাক হন।
অরবিন্দবাবু বলেন, “গৌতমবাবু এ দিন বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আমার কাছের মানুষ। তাঁর সঙ্গে সব সময়ই সুসম্পর্ক থাকবে। তবে এখনই দলে ফেরার কথা ভাবছি না।” অরবিন্দবাবুর আক্ষেপ, দলের কিছু মানুষের কাজকর্মে তিনি আঘাত পেয়েছেন। তিনি মেনে তিনি পারছেন না। যে ভাবে দল চলছে তার সঙ্গে অরবিন্দবাবুর মানসিকতা মিলছে না। তাই সে সব নিয়ে রাগ, ক্ষোভ রয়েছে তার মধ্যে। তিনি বলেন, “রাজনীতিটা মানুষের সেবার জন্য করা উচিত বলে মনে করি। মনের মধ্যে রাগ, দ্বেষ, অবিশ্বাস নিয়ে সেই কাজ সঠিক ভাবে করতে পারব না। দলের বাইরে থেকে যদি কারও উপকার করতে পারি সেটাই বড় হবে। পরে যদি পরিস্থিতি পরিবর্তন হয় তখন আবার ভাবব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy