ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছু়ড়তে থাকেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যার জেরে আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। শুক্রবার রাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার গ্রামে মোতায়েন করা হয় র্যাফ এবং পুলিশ বাহিনী।
শুক্রবার স্থানীয় এক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ভোলার চালের ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই ব্যবসাতেও জালিয়াতি করেন ভোলা। রেশনে পাওয়া চাল গরিব মানুষের থেকে কিনে নিজের গুদামে মজুত করেন এবং পরে চড়া দামে তা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার বিকেলে এক দিনমজুর পরিবারের থেকে চাল কিনতে যান তিনি। চাল নেওয়ার পর জানান, গুদামে গিয়ে চাল মেপে তার পর টাকা দেবেন। চাল বিক্রির টাকা আনতে দিনমজুরের নাবালিকা মেয়ে এবং ভাগ্নি ভোলার সঙ্গে তাঁর গুদামে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সে সময় ভাগ্নিকে বাইরে রেখে ওই নাবালিকাকে গুদামের ভিতর ধর্ষণ করেন ভোলা। তার পর তার হাতে ৩৫০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যান। বাড়ি ফিরে নাবালিকা ঘটনার কথা জানায় তার মাকে। রক্তক্ষরণ হওয়ায় নাবালিকা প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। পরে তাকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ভোলাকে খুঁজে বের করে। তার পর শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপরই চড়াও হন গ্রামবাসীরা। চলতে থাকে ইট-বৃষ্টি। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এএসআই অভিজিৎ মণ্ডলের। এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারও আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশের আরও বড় বাহিনী যায় সেখানে। শনিবারও ওই গ্রামে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধর্ষণে অভিযুক্ত ভোলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy