মালদহে তৃণমবূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করা এবং গুলি চালানোর অভিযোগ দলেরই আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষীপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। ওই কাণ্ডে আটক করা হয়েছে তৃণমূল ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মইনুল শেখ-সহ ৩ জন। বিষয়টি যে দলেরই দুই গোষ্ঠীর কোন্দল তা মেনে নিয়েছেন মালদহের তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরে তাঁদের দফতরে হামলা চালায় দলেরই আর এক গোষ্ঠীর লোকজন। রকি শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘আমরা রাতে ক্য়ারম খেলছিলাম। সেই সময় আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমরা জনা দশেক ছিলাম। কিন্তু ওরা ১০০-১৫০ জন ছিল। লাঠি, ইট নিয়ে এসেছিল। আমরা পালিয়েছিলাম। ওরা এসে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। আমি দেখেছি ওদের গুলি চালাতে।’’ তৃণমূলের একটি শিবিরের দাবি, ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মইনুলের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বিবাদের জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা।
খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে এই ঘটনা। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংঠনিক জেলার সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চুরি করেছেন তৃণমূল সদস্যরা। সেই টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। তা নিয়েই এই সংঘর্ষ।’’
বিষয়টি যে দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল, তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy