বিতর্ক: অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন। নিজস্ব চিত্র
এখনও উদ্বোধন হয়নি। তার আগেই প্রশাসনের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে সার্কিট হাউজ়ের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে আলিপুরদুয়ারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আর অভিযুক্ত আধিকারিকের কথায়, আর কোনও ভবন ফাঁকা না থাকাতেই বাধ্য হয়ে তিনি সার্কিট হাউজ়ের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে অল্প কিছু পরিচিত লোককে নিয়ে ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আগে সার্কিট হাউজের একটি অ্যানেক্স বিল্ডিং ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার নতুন জেলার স্বীকৃতি পাওয়ার পরে ওই বিল্ডিংটি কার্যত আধিকারিকদের কোয়ার্টার হিসাবে ব্যবহার হতে শুরু করে। এই অবস্থায় সার্কিট হাউজ়ের মূল ভবনের পাশে দক্ষিণ দিকে একটি অ্যানেক্স বিল্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে বিল্ডিংয়ের কাজ কার্যত শেষ।
সূত্রের খবর, তিনতলার নতুন এই অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে প্রথম তলটি মিটিং হল ও রান্না ঘর রয়েছে। দ্বিতীয় তলে রয়েছে চারটি সুইট রুম। আর তিনতলায় রয়েছে আটটি ডাবল বেড রুম। এ দিকে, আজ সোমবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে আলিপুরদুয়ার-সহ পাঁচ জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, ওই দিনই শিলিগুড়ি থেকেই আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউজ়ের অ্যানেক্স বিল্ডিং উদ্বোধন করে ফেলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শেষ পর্যন্ত তেমনটা যদি হয়, সেজন্যই এই মুহূর্তে দ্রুত গতিতে সার্কিট হাউজ়ের বাকি থাকা কাজ চলছে।
কিন্তু এরই মধ্যে রবিবার উদ্বোধন না হওয়া অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে ওই আধিকারিকের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। সেই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানই ছিল এ দিন। অভিযোগ, এ জন্য অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের-এর একটি ঘরে চেয়ার-টেবিল পেতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনের আগেই সার্কিট হাউজের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে এমন অনুষ্ঠানে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও ওই আধিকারিকের দাবি, অনুষ্ঠানের জন্য কোনও ভবন ফাঁকা না পাওয়াতেই এই জায়গা বেছে নেন। তবে, সামান্য ছোট করে কয়েকজনকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু উদ্বোধনের আগে কি এ ভাবে সরকারি ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি একমাত্র জেলাশাসকই বলতে পারবেন।’’ কিন্তু বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা ফোন ধরেননি। এসএমএসের উত্তর দেননি.
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy