Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিক্ষুব্ধ বাসিন্দা, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমি পেল না পুরসভা

স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমির দখল নিতে পারলো না পুরসভা। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য পাঁচ একর জায়গায় দখল নিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন মধ্য চাপাতলি গ্রামে যান পুরসভার চেয়ারম্যান আশিস দত্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৬ ০২:২০
Share: Save:

স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমির দখল নিতে পারলো না পুরসভা।

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য পাঁচ একর জায়গায় দখল নিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন মধ্য চাপাতলি গ্রামে যান পুরসভার চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। তখনই কালজানি নদী সংলগ্ন ও সরকারি জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরিতে বাধা দেন এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকশো পুরুষ ও মহিলা রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকায় জমি পর্যন্ত যেতেই পারেনি পুরসভার গাড়ি। পরে হেঁটে ওই জমিতে যান পুরসভার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য আধিকারিকরা।

এলাকার বাসিন্দা দীপিকা বর্মন, বিপিন রায়, বাপি ঘোষ, রাতুল ঘোষরা বলেন, ‘‘এলাকায় ময়লা ফেললে দুর্গন্ধ ছড়াবে। মশা মাছির উপদ্রব হবে। বর্ষায় নদীর জল বাড়লে নোংরা জল চাষের জমিতে মিশবে। আমরা এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে দেব না।’’

আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য পুরসভা, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবকেই এরজন্য দায়ী করেছেন। তাঁরা জানান, এ দিন চেয়ারম্যানের সঙ্গে পুলিশ বাহিনী গেলেও জেলাপ্রশাসনের তরফে কোনও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট যাননি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে পেরে ফিরে আসেন তাঁরা। পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, এর আগেও বেশ কয়েক জায়গায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জমি কিনেও স্থানীয় বসিন্দাদের বাধায় কাজ হয়নি। কয়েক বছর ধরে শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ময়লা ফেলার কাজ চলছিল। আপাতত তাও বন্ধ।এবার রাজ্য সরকারের তরফে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য পাঁচ একর জায়গা বরাদ্দ হয়েছে বঞ্চুকামারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্য চাপাতলি এলাকায়।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান আশিষ দত্ত বলেন, “এ দিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই এলাকায় ছিলাম। স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও আধিকারিক না থাকায় আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হই।”

জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “এ দিন ভূমি সংস্কার দফতর থেকে পুরসভাকে জমি হস্তান্তর করার কথা ছিল। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।” পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy