মৃত গৃহবধূ নুরসেবা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করে বধূর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। মৃত গৃহবধূর নাম নুরসেবা খাতুন (২৪)। তাঁর দু’বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মৃতের বাবার অভিযোগ, কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই অশান্তি চলছিল। সে জন্যই তাঁর মেয়েকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারি গ্রামের নুরসেবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের। তাঁদের দু’বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকেই রুকসেবার উপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে মোড়ল থেকে পঞ্চায়েতে একাধিক সালিশি সভাও বসেছিল। সেখানে নুরসেবার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জরিমানার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার সকাল থেকে মেয়েকে বার বার ফোন করেও পাচ্ছিলেন না নুরসেবার বাবা রেজাউল মহম্মদ। উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি যান মেয়ের শ্বশুরবাডি়তে। সেখানে গিয়ে বাড়ির সামনে একটি গাছে নুরসেবার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তার পরই তিনি খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক নুরসেবার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, জা।
নুরসেবার বাবা রেজাউলের অভিযোগ, ‘‘কন্যাসন্তান জন্মের পর থেকেই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হত। আমার মেয়েকে পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওরা।’’ ঘটনা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy