উদ্ধার: বাঘের চামড়া। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্যের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাচার করার সময় ধরা পড়ল পাঁচ চোরাশিকারি। রবিবার সকালে অসম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় শ্রীরামপুর এলাকার ঘটনা। পরে চোরাশিকারিদের কাছ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের চামড়া, চারটি দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। অসম সীমানায় সে রাজ্যের বন দফতরের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় রাজ্য বন দফতরের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গের বিশেষ টাস্কফোর্স।
বনকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বাঘটিকে অসমের কোনও জঙ্গলে মারা হয়েছিল। শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে গিয়ে বাঘের চামড়া, দাঁত বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বলে অনুমান বনকর্তাদের।
দীর্ঘ দিন ধরে ওৎ পেতে আন্তঃরাজ্য চোরাশিকারীদের জালে ধরতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। এ দিনের অভিযানে উদ্ধার বাঘের চামড়া, দাঁতের আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি বন দফতরের কর্তাদের। অভিযুক্তরা সকলেই অসমের বাসিন্দা বলে তাঁদের অসমের বনকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের কর্তা সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘প্রায় এক মাস থেকেই আমরা এবং অসমের বন দফতরের কর্মীরা জানতে পারি, কাঠমান্ডুতে বাঘের দেহাবশেষ বিক্রির চেষ্টা হচ্ছে। তারপর গ্রাহক সেজে তাদের টোপ দেই।’’ বন কর্তাদের দাবি ওই টোপে পড়েই পাঁচ অভিযুক্ত বিবলোঁ নার্জারি, বীণাদীপ রায়, ডিম্বেশ্বর রায়, ঈশাক নার্জারি এবং প্রভাত নার্জারি অসমের একটি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে করে টাকা নিতে আসে অসমের শ্রীরামপুরে। রবিবার ভোরে তাদের ধরে জেরা করে দু’রাজ্যের বন দফতর। পরে অসমের চিরাং জেলা থেকে রয়্যালবেঙ্গলের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ স্পেশাল টাস্কফোর্সের তরফে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করে অসমের বন দফতরের ফিল্ড ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, এই ধরনের অপরাধের উপর রাশ টানতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার। চোরাশিকারিদের ধরার ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের মধ্যে মধ্যস্থতা করে দিল্লির বন্যপ্রাণ অপরাধদমন ব্যুরো। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়িকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে ভুটান এবং নেপালের বিভিন্ন বাজারে চোরাশিকারের সামগ্রী বিক্রির একটি বড় বাজার রয়েছে। ২০১৬ সালে আলিপুরদুয়ারে একটি ৮ ফুট লম্বা বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল তিনজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy