ছবি পিটিআই।
কেউ নির্মাণ শ্রমিক, কেউ হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী, কেউ কারখানার শ্রমিক। সকলের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে। তাঁরা দিল্লিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। দেশ জুড়ে লকডাউনের জেরে তাঁরা এখন আটকে সেখানেই।
গোয়ালপোখরের মিঠাপোখরের বাসিন্দা মহম্মদ মোস্তফার মতো কয়েক জন এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী গোলাম রব্বানির কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। মোস্তাফারা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে তাঁদের কাজ বন্ধ। পকেটে যা টাকা ছিল তা ফুরিয়ে গিয়েছে। মোস্তাফা বলেন, ‘‘বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। লকডাউনে বাতিল হয় ট্রেন। টাকা নেই। প্রায় না খেয়ে রয়েছি।’’ শুক্রবার তিনি জানান, গোয়ালপোখরের প্রায় দু’হাজার বাসিন্দা দিল্লিতে আটকে।
মোস্তাফার সঙ্গে আটকে গোয়ালপোখরের চেনপুরের মহম্মদ হালিমও। তিনি জানান, দিল্লিতে কাজ করে যা রোজগার হয় সবই তাঁরা গ্রামের বাড়িতে পাঠান। লকডাউনে কাজ বন্ধ। তাতে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।
গোয়ালপোখরের মনিভিটার যুবক সাহাদাত আলম দিল্লির একটি হোটেলে কাজ করেন। বললেন, ‘‘করোনার জেরে হোটেল বন্ধ। মালিক জানিয়েছে, বাড়ি চলে যেতে হবে। ফেরার টিকিটও কাটি। কিন্ত ট্রেন বন্ধ। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছি। খাবার নেই, টাকা নেই।’’
উৎকণ্ঠায় সাহাদাতদের পরিবারের লোকজন। তাঁরা গোলাম রব্বানিকে বিষয়টি জানান। ভিডিয়ো বার্তায় মোস্তাফারা বলেছেন, ‘‘আপনি এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী। বার আমরা বিপদে। আমাদের সাহায্য করুন। যাতে এখানে না খেয়ে না মরি।’’
উত্তর দিনাজপুরের প্রচুর লোক ভিন্ রাজ্যে কাজ করেন। কাজ বন্ধ হতেই পাঁচ হাজার শ্রমিক ফিরলেও অনেকে এখনও আটকে। গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘অন্য রাজ্য আটকে যাওয়া শ্রমিকদের কী ভাবে সাহায্য করা যায় দেখছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখন তো ফেরার কোনও উপায় নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য সংলিষ্ট রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছেন। ওঁদের জন্যেও নিশ্চয় কিছু ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy