আক্রান্ত: পুলিশের গাড়ির কাচ ফুটো করে দিয়েছে গুলি। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক ধরেই বোমাবাজির অভিযোগ উঠছিল। এ বারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করেই বোমা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল দিনহাটার ভেটাগুড়িতে। একটি গুলি পুলিশের জিপের কাচ ভেদ করে চলে যায়। গাড়িতে বসে থাকা এক পুলিশ অফিসার (এসআই) অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। কাচের টুকরো তাঁর পায়ে ও চোখে লেগেছে। ওই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে। পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিজেপি কর্মী আনন্দ চন্দ এবং সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে।
ভেটাগুড়িতে বিজেপি-র সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদের ইন্ধনেই পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে বিজেপি। বিজেপি-র পাল্টা দাবি, তৃণমূলই চক্রান্ত করে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর পরে বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস বলেন, “ধৃতদের আট দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আরও কারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার খোঁজ চলছে।”
দিন কয়েক ধরে ভেটাগুড়িতে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের লড়াই চলছে। দু’দিন আগে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই তাঁদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে। একদিন বাজার বন্ধ হয়। পথ অবরোধও করেন বিজেপি কর্মীরা।
এখন রোজ রাতেই ওই এলাকায় টহলদারি শুরু করে পুলিশ। এ দিন রাতে দশটা, সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এর পরেই ঘটনা ঘটে।
জখম এসআই অজিত কুমার শা জানান, তিনি গাড়ির সামনেই বসেছিলেন। হঠাৎই গাড়ির ডান দিক থেকে গুলি এসে কাচ ভেদ করে জানলা দিয়ে বেরিয়ে যায়। সেই কাচের টুকরো তাঁর চোখ এবং হাতে এসে লাগে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমের খোল উদ্ধার করে।
বিজেপি-র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “ওই এলাকায় ওই দিন আমাদের দলের কর্মীদের উপরে হামলার জন্য বিজেপি জড়ো হচ্ছিল। সেই সময় বিজেপি কর্মীরাই পুলিশকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ফোন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তৃণমূল হামলা চালায়। এখন বিষয়টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
দিনহাটার তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ ওই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে ভেটাগুড়িকে মুক্তাঞ্চলে পরিণত করে তুলেছে। বিজেপি নেতারা পনেরো দিনের মধ্যে তৃণমূলকে জেলা থেকে উৎখাত করার কথা ঘোষণা করছেন। আর তাঁরই ইন্ধনেই বিজেপি তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। এখন পুলিশকেও আক্রমণ করছে।” বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy