তিন মাস হতে চলল। এখনও জলপাইগুড়ির শিশু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট জমা পড়েনি আদালতে। সিআইডির দাবি, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। নতুন করে কেউ গ্রেফতারও হয়নি। বৃহস্পতিবার মালদহের সরকারি সভামঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের উল্লেখ করতে গিয়ে এই মামলার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘‘শিশু চুরি নিয়ে ফিসফাস। আমরা সবই জানি। ইচ্ছে করলে অনেককেই জেলে ঢোকাতে পারি। কিন্তু আমাদের স্লোগান ছিল বদলা নয়, বদল চাই।’’
মাস দেড়েক আগে জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিশু বিক্রি মামলায় অভিযুক্তদের কাউকে রেয়াত করার প্রশ্ন নেই। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফের মামলার প্রসঙ্গ ওঠায় তদন্তের কাজে গতি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দত্তকের নামে শিশু বিক্রির অভিযোগে জলপাইগুড়ির একটি হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। গ্রেফতার করা হয় হোমের এক কর্মী সহ চন্দনার ভাইকেও। পরবর্তী সময়ে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকেও গ্রেফতার করা হয়। দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির দুই প্রাক্তন শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী সস্মিতাকেও ধরে সিআইডি। দার্জিলিঙের শিশু কল্যাণ সমিতির এক সদস্যও গ্রেফতার হয়।
চন্দনার হোম থেকে শিশু নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একটি মামলা হয় কোতোয়ালি থানায়। সিআইডি সূত্রের খবর, সেই মামলাটিও দ্রুত পুলিশের থেকে নেওয়া হবে।
সম্প্রতি এই মামলায় জেলে গিয়ে চন্দনা চক্রবর্তী ও সোনালী মণ্ডলকে জেরা করার জন্য আদালতের অনুমতিও নিয়েছে তারা৷ পরবর্তীতে ওই দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy