জলপাইগুড়ি স্টেশন। ও স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর একটাই রাস্তা। ছবি দু’টি তুলেছেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নামেই ‘মডেল’ স্টেশন। যদিও আদর্শ স্টেশনের যথাযথ পরিষেবা জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে মেলে না। এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। পানীয় জল, শেডের মতো যাত্রী পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের, এমনকী স্টেশনে থাকা ঘড়িটিও গত ছ’মাস ধরে বিকল হয়ে থাকলেও মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্টেশনের প্রবেশ এবং বের হওয়ার রাস্তা একটাই, ভিড়ের সময় সঙ্কীর্ণ পথে নিত্য ঠেলাঠেলিতে যাত্রীদের নাকাল হতে হয় বলে অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মের মাঝে কিছুটা অংশ ছাড়া অন্যত্র শেড না থাকায় বৃষ্টি হলেও দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এমনই নানা অভিযোগ রয়েছে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের পরিষেবা ঘিরে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “প্ল্যাটফর্মের খারাপ ঘড়িটি সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি চালু করার প্রস্তাব মুখ্যকার্যালয় মালিগাঁওয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই কার্যকর করা হবে। সেই প্ল্যাটফর্মটি চালু হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এই স্টেশনে পানীয় জল সরবারহ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। দু’টি ঠান্ডা জল সরবরাহের মেশিনের মধ্যে একটি বিকল, অন্যটি থেকে ঠান্ডা জল মেলে না। স্টেশনে পৃথক কোনও অনুসন্ধান কেন্দ্র নেই, একটি টিকিট ঘরে প্রশ্ন করে যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য জানতে হয়। যদিও অধিকাংশ সময়েই সে পরিষেবাও মেলে না বলে অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মের বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলে অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মে বসার বেঞ্চগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ। স্টেশনের ওভারব্রিজে দিনভর আড্ডা আর জামা কাপড় শুকানোর কাজে ব্যবহার হয় বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি স্টেশনের রেলওয়ে কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য তথা নিত্যযাত্রী সংগঠনের সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেন, “আমরা প্রতিটি সভায় সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করার জন্যে রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যদিও, রেল সূত্রে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আন্দোলনের কথা ভাবছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy