সাম্প্রতিক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে জট খোলেনি। চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে ফের জুলাই মাসে বৈঠক ডাকবে রাজ্য শ্রম দফতর। তার আগে বাগান মালিকদের উপর চাপ বাড়াতে আজ চালসায় বৈঠকে বসছে চা শ্রমিক দের বিভিন্ন সংগঠন। এই আলোচনায় যোগ দিচ্ছেনা তৃণমূল কংগ্রেসের চা শ্রমিক সংগঠন। বৈঠকে থাকবে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শ্রমিক সংগঠনগুলির মত ১৭ টা সংগঠনের কো অর্ডিনেশন কমিটি। চালসার বাগান কর্মী সংগঠনের ভবনে বেলা ১টায় এই বৈঠক শুরু হবে।
১৮ জুন শিলিগুড়ির উত্তরকন্যার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আগামী ৩ বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি ২১ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় মালিক সংগঠনগুলি। এর বিরোধিতা করে সব শ্রমিক সংগঠনই। ইউনাইটেড টি ওয়াকার্স প্লান্টেশনের মুখ্য আহ্বায়ক অনুরাধা তলোয়ার বলেন, “আমরা শ্রমিক মজুরি ৩২২ টাকা করার দাবিতে সরব হয়েছিলাম। সেখানে মাত্র ২১ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় মালিকপক্ষ। চালসার বৈঠকে এই সমস্ত কিছু নিয়েই আলোচনা হবে।” কো-অর্ডিনেশন কমিটির জিয়াউল আলম বলেন, “শ্রমিক স্বার্থরক্ষায় মজুরি বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। সেখানে ২১ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব সম্মানহানিকর। এরই বিরোধিতায় আমরা কী ভাবে সরব হব তা চূড়ান্ত করতেই সবাই মিলে চালসার বৈঠকে বসছি।”
এদিকে চা শ্রমিকদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এ রকম স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে ডাকা বৈঠকে যোগ না দেওয়ার অজুহাত খাড়া করে ফেলেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। তরাই ডুয়ার্স প্লান্টেশন ওয়াকার্স ইউনিয়ন যুগ্ম সম্পাদক বাদল দাশগুপ্ত চালসার বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা রাখছি। রাজ্য সরকার ২০৬ টাকা ন্যূনতম শ্রমমজুরি বেঁধে দিয়েছে। এটা যাতে দ্রুত কার্যকর হয় তা সরকার দেখছে। আমরা পাল্টা আন্দোলনের পক্ষে নই।” ২০১১ সালে ২৮ টাকা বেড়ে চা শ্রমিকদের বর্তমান মজুরি দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৯৫ টাকা। দুর্মূল্যের বাজারে এই সামান্য মজুরিতে নাভিশ্বাস উঠেছে চা শ্রমিক মহল্লায়। প্রতি বছর সাত টাকা করে আগামী ৩ বছরে ২১ টাকা মজুৃরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে মালিক পক্ষ। নাগপাশ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন চা শ্রমিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy