Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

উত্তরবঙ্গের দুষ্কৃতী-যোগে ছক কষছে অসমের জঙ্গিরা, শঙ্কা

উত্তরবঙ্গের দুষ্কৃতীদের একাংশকে কাজে লাগিয়ে খুন ও অপহরণ করে তোলা আদায়ের ছক কষেছে অসমের কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন। গত ৫ অগস্ট জুল্লাদ হোসেন নামে এক সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পরে পুলিশ ওই ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্য পেয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ওই অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর জুল্লাদের মতো ‘কুখ্যাত’ দুষ্কৃতীদের কাজে লাগাচ্ছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। কখনও নামনি অসমেও জঙ্গিদের সামনে রেখে কাজ চালাচ্ছে জঙ্গিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৫
Share: Save:

উত্তরবঙ্গের দুষ্কৃতীদের একাংশকে কাজে লাগিয়ে খুন ও অপহরণ করে তোলা আদায়ের ছক কষেছে অসমের কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন। গত ৫ অগস্ট জুল্লাদ হোসেন নামে এক সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পরে পুলিশ ওই ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্য পেয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ওই অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর জুল্লাদের মতো ‘কুখ্যাত’ দুষ্কৃতীদের কাজে লাগাচ্ছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। কখনও নামনি অসমেও জঙ্গিদের সামনে রেখে কাজ চালাচ্ছে জঙ্গিরা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছুদিন আগে কোকরাঝাড়ের একটি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপককে অপহরণ করে এনডিএফবি জঙ্গি সংগঠনের হাতে তুলে দেয় জুল্লাদের দল। চারদিন আগে অবশ্য সেনা ও কোকরাঝাড় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, টাকার বিনিময়ে জুল্লাদের দল জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার বরাত নেয়। এতে জঙ্গিদের জঙ্গল ছেড়ে বাইরে বেরোতে হয় না। জঙ্গি সংগঠনকে চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি অসমের তিনটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দুস্কৃতীদের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে ওই দুস্কৃতীরা জড়িত। তাদের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে জয়গাঁর বাসিন্দা জুল্লাদ তার সঙ্গীদের নিয়ে শিলিগুড়িতে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে। ভর সন্ধ্যায় ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে গুলি করে নিরাপত্তা রক্ষীকে খুন করার পর কয়েক লক্ষ টাকার সোনা লুঠ করে পালিয়ে যায়। ক্লোজড সার্কিট টিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ জুল্লাদকে ধরে। আড়াই মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের অপরাধের ছক কষে সে। বেশি টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি করে তারা। পুলিশের দাবি, ফালাকাটায় একটি ডাকাতির ঘটনা এবং কোকরাঝাড়ে পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক অপহরণের ঘটনায় জুল্লাদ ও তার দল জড়িত বলে প্রমাণও মিলেছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ৫ অগস্ট মঙ্গলবার রাতে একটি ছোট গাড়িতে চেপে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অসম থেকে কোচবিহারে ঢোকে ওই দলটি। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জুল্লদ ছাড়াও ছিল ইউসুফ আলি, সরমা রাভা, মফিকুল হক, আজিজুল হক। এর মধ্যে সরমার বাড়ি অসমে। বাকিদের বাড়ি কোচবিহারে। দুটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি দেশি রাইফেল, দশ রাউন্ড গুলি, ২৬ কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

cooch behar militants assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy