মহলন্দির সভায় শুভেন্দু অধিকারী ও অনুব্রত মণ্ডল। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী এক দিনেই তিনটি জনসভা করে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন। সোমবার শুভেন্দু বড়ঞা, কান্দি ও ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার সারেন। তিনটি সভাতেই তাঁর সঙ্গী ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা এবং বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মুর্শিদাবাদে এখন তৃণমূল প্রথম শক্তি। গত পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচনে জেলার ৩৪টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে জেতে তৃণমূল। দিকে দিকে কংগ্রেস, সিপিএম ভাঙছে। বিজেপি ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। তৃণমূল বাড়ছে।’’ বিজেপিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘খড়গপুরে ভোটপ্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বড় বড় কথা বলেছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে তিনি প্রতি বছর ৫ কোটি বেকার চাকরি পাবেন বলে জানিয়ে যান। কিন্তু গত দু’বছরে ১০ কোটি কেন ১০ জনও চাকরি পাননি।’’ তিনি জানান, বিজেপি কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ। তিনটি সভাতেই শুভেন্দু তাঁর উপর বিশ্বাস রেখে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। ভোটারদের কাছে তাঁর বিনম্র আবেদন, ‘‘আমার কথা বিশ্বাস করে নন্দীগ্রামের মানুষরা লড়েছে। জমি রক্ষার আন্দোলন করেছে। তাদের জমি রক্ষা হয়েছে। আপনাদের কাছেও আমি কথা
দিতে পারি। তৃণমূলের প্রার্থীদের জিতিয়ে দিদির হাত মজবুত করুন। ২৫০টি আসন নিয়ে দিদি ক্ষমতায় আসবে।’’ অনুব্রত মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে জেতার পরে দিদির কথায় রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানো হয়। এবার কিন্তু চড়াম
চড়াম করে ঢাক বাজবে।’’ পাশ থেকে শুভেন্দু অধিকারী মাথা নাড়িয়ে
সায় দেন। তারপর বলেন, ‘‘দিদিকে ঢাক বাজানোর অনুমোদন দিতে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy