কলেজের টাকায় করা নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেই নিজেদের প্রচার চালাল টিএমসিপি। মঞ্চের ব্যানার থেকে শুরু করে কভার ফাইলে লেখা রয়েছে ‘পলাশি কলেজ নবীনবরণ উৎসব, পরিচালনায় ছাত্র সংসদ (টিএমসিপি)’।
নদিয়ার পলাশি কলেজের ঘটনা। যেখানে পরীক্ষার মরসুমে মাইক বাজিয়ে নবীনবরণ করার অভিযোগ উঠেছে শনিবার। এসএফআইয়ের অভিযোগ, শুধু মঞ্চে বা কভার ফাইলে নিজেদের নাম লিখেই ক্ষান্ত হয়নি টিএমসিপি। মঞ্চে দেখা গিয়েছে বহিরাগত নেতাদেরও। মঞ্চ থেকে ‘টিএমসিপি জিন্দাবাদ’ স্লোগানও দেওয়া হয়।
এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি বাবুসোনা সরকার বলেন, “সরকারি টাকায় হওয়া অনুষ্ঠানে সংগঠনের নাম দেওয়া যায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে রয়েছেন।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত শুধু বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
২০১০ সালে তৈরি পলাশি কলেজে এ বারই প্রথম ছাত্র সংসদ তৈরি হয়েছে। গত জানুয়ারিতে মাসে ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে টিএমসিপি এবং এসএফআইয়ের মারপিট হয়। টিএমসিপি একতরফা মনোনয়ন জমা দেয় এবং কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। তাতেই তাদের বুকের পাটা আরও বেড়ে গিয়েছে এবং তার জেরেই শনিবার কলেজ মাঠে মাইক বাজিয়ে নবীনবরণ করা বলে দাবি এসএফআই সমর্থকদের।
এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান শেখ। তবে সংগঠনের কালীগঞ্জ ব্লক সভাপতি কাজল শেখের ব্যাখ্যা, “এ বারেই প্রথম ছাত্র সংসদ গঠিত হয়েছে। নতুন ছাত্ররা তার নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। তাই ভূল করেই তারা ‘টিএমসিপি’ কথাটি লিখে ফেলেছে। আগামী দিনে এই ভূল যাতে না হয়, তা আমরা দেখব।” তিনি নিজেও অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে তাঁর দাবি, ‘সমাজসেবী’ হিসেবেই ছাত্রেরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
নবীনবরণের জন্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। সেই টাকায় টিএমসিপি-র নামে ব্যানার ও কভার ফাইল হল, কলেজ কর্তৃপক্ষ কি তখন ঘুমোচ্ছিলেন? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার বৈদ্যের দাবি, “এ রকম কোনও বিষয় আমার নজরে আসেনি। তবে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনও ভুলচুক হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে ছাত্র সংসদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy