নিজস্ব চিত্র।
সীমান্তের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। প্রত্যেক মাসের নির্ধারিত একটি দিনে চলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্মদিন পালন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাতে মেয়েদের স্কুলছুটের হার কমছে।
ঘটনাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পিপুলবাড়িয়া হাইস্কুলের। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে মেয়েদের জন্মদিন পালনে উদ্যোগী হওয়ায় স্কুলছুটের পরিমাণ কমেছে। এমনকি, উল্টে বেড়েছে পড়ুয়ার উপস্থিতির হার। স্বভাবত যা নিয়ে আশার আলো দেখছেন শিক্ষাবিদেরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন স্কুল নিজ নিজ উদ্যোগে সারা বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নানা ধরনের পরিকল্পনা করে থাকে। সে সব নিয়মিত বাস্তবায়িতও করা হয়। কিন্তু এলাকার এই স্কুলটির ছাত্রীদের জন্মদিন পালনের অভিনব এই উদ্যোগে স্কুলে মেয়েদের আসার হার রীতিমতো বেড়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভাবনা। কেননা, সীমান্তের অনেক বাড়িতেই নানা কারণে ছাত্রীদের বাড়িতে জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠে না। যে কারণে স্কুলে জন্মদিন পালন করা হলে মেয়েরাও খুব উৎসাহী হয়ে পড়ে। তারা জন্মদিনে স্কুল এসে বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠে।’’
বুধবার ওই স্কুলে জন্মদিন পালিত হয়েছে ছাত্রী হীরা খাতুন, জয়শ্রী দাস, স্বপ্না দাস, মৌমিতা খাতুনের। তারা জানায়, স্কুলই তাদের সব ছাত্রীদের জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। ওই ছাত্রীদের কথায়, ‘‘এলাকার অন্য কোনও স্কুলে এই ভাবে ছাত্রীদের জন্মদিন পালন করা হয় কিনা, জানা নেই। তবে আমাদের স্কুলে প্রত্যেক মাসে যে ভাবে আমাদের সকলের জন্মদিন পালন করা হয়, তাতে আমরা খুব আনন্দ পাই। স্কুলে আসার মজা দ্বিগুণ হয়ে যায়।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রত্যেক ইংরেজি মাসের একটি দিন বেছে নেওয়া হয়। সেই ইংরেজি মাসে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যে সকল ছাত্রীর জন্মতারিখ পড়ে, তাদের নিয়েই নির্দিষ্ট এক দিনে পালিত হয় স্কুল ছাত্রীদের জন্মদিনের উৎসব।
তবে স্কুলে যে দিন জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন হয়, সে দিন সব শ্রেণির পড়ুয়ারাই মিড-ডে মিল খাওয়ার সুযোগ পায়। এমনকি, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এতে অংশ নেন।
যেমন, বুধবারের ছাত্রীদের জন্মদিন উপলক্ষে মিড-ডে মিলে মুরগির মাংসের ব্যবস্থা ছিল। জানা দিয়েছে, জন্মদিন পালনের দিনে মিড-ডে মিলের বাড়তি খরচের টাকা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাঁদা তুলে ব্যবস্থা করেন।
প্রথম ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই অভিনব উদ্যোগ চালু করেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম তেওয়ারি। কিন্তু অতিমারির কারণে তা এত দিন বন্ধ ছিল। পার্থপ্রতিম তেওয়ারী বলেন, ‘‘ফের আগের পরিকল্পনা মতো গত বুধবার কেক কেটে চোদ্দো জন ছাত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এই অভিনব উদ্যোগের ফলে কমেছে স্কুলছুট। বেড়েছে উপস্থিতির হার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy