প্রতীকী ছবি।
বধূর বাড়িতে দিয়ে উদ্ধার হল বেশ কয়েক কিলোগ্রাম গাঁজা। গাঁজা পাচারের অভিযোগে গৃহবধূ-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দক্ষিণবঙ্গে গাঁজা পাচারের অন্যতম ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ অভিযুক্ত মহিলার বাড়ি। তিনি পাচারচক্রের অন্যতম পাণ্ডা বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনা নদিয়ার চাপড়ার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকে নবদ্বীপ হয়ে বারাসাত যাওয়ার সময় গাঁজা-সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কয়েক জন পাচারকারী। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চাপড়ার বধূ মধ্যবয়সি পল্লবী দাস সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মালদহ হয়ে নদিয়ার চাপড়ার এই মহিলার কাছে পৌঁছে যেত গাঁজা। সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গের পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে মাদক পৌঁছে দিতেন ওই পল্লবী। বারাসাত এবং হাবড়ার বেশ কয়েক জন পাচারকারী নিয়মিত পল্লবীর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে গাঁজা নিয়ে আসতেন বলেও পুলিশের দাবি। শনিবার গভীর রাতে ওই মহিলার বাড়ি ঘিরে ধরে পুলিশ। ভোররাতে পল্লবী-সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে আট কিলোগ্রাম গাঁজা। ধৃতরা হলেন কোচবিহারের বাসিন্দা সুজয় সরকার এবং সুবল মজুমদার। এ ছাড়া রয়েছেন দেবু সর্দার নামে চাপড়ার এক বাসিন্দা। সুজয় এবং সুবল উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে গাঁজা নিয়ে পল্লবীর কাছে পৌঁছে দিতেন বলে অভিযোগ। পল্লবী এবং দেবু মূলত দক্ষিণবঙ্গে গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পল্লবী চাপড়ার দইয়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি একাই থাকেন। কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামী মৃত্যু হওয়ার পর থেকে স্থানীয় এক মাদক কারবারির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ গড়ে ওঠে বলেও তদন্তকারীদের মত। এ নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy