Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অস্ত্র ফেলেছিল চালতিয়া বিলে, দাবি পুলিশের

মঙ্গলবার, আশাদুল খুনে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার ও বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর হিরু হালদারকে পুলিশ ফের নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানাতেই মঞ্জুর হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০২:২৩
Share: Save:

প্রথম দফায় চার দিন নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল পুলিশ। তবে তাতে নাকি ‘কাজ’ হয়নি।

মঙ্গলবার, আশাদুল খুনে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার ও বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর হিরু হালদারকে পুলিশ ফের নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানাতেই মঞ্জুর হয়েছে।

তৃণমূল ছাত্রপরিষদের বহরমপুর ব্লক (পূর্ব) সভাপতি আসাদুল শেখ (৩২) খুনের ঘটনায় ধৃত কংগ্রেসের চার জনকে মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতে হাজির করা হয়। সরকার পক্ষ ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর মুর্শিদাবাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পিনাকি মিত্র ধৃতদের তিন জনকে ফের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন। বাকি দু’ জন, সন্তু সিংহ ও শ্যামল হাজারকে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আসাদুল্লা খুনের ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে ধৃতরা গোপন জবানবন্দি দেন। এ দিন এজলাসে সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আসাদুলকে তাঁরা খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দিতে শিলাদিত্য হালদার ও হিরু হালদার স্বীকার করেছে। ওই খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা অস্ত্র চালতিয়া বিলের জলে ফেলে দিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। সেই অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য শিলাদিত্য হালদার ও হিরু হালদারকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা দরকার’’

বিচারকের উদ্দেশ্যে ধৃতদের আইনজীবী পিযূষ ঘোষ বলেন, ‘‘বহরমপুরের বদলে এক্তিয়ার অগ্রাহ্য করে ধুতদের লালগোলা ও ভগবানগোলা থানার লকআপে রেখেছিল পুলিশ। এত দিন পুলিশ হেফাজতে রেখেও যখন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ, তখন তাঁদের কথা নির্ভরযোগ্য নয়। ধৃতদের জামিন দেওয়া হোক।’’ বিচারক জামিন অগ্রাহ্য করেন।

গত ১১ মে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর নিজের হোটেলের ম্যানেজার বাবলু শেখের সঙ্গে একই মোটর বাইকে চেপে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর বাড়ি থেকে ভাকুড়ির মোডে নিজের হোটেলে ফিরছিলেন আসাদুল শেখ। ভাকুড়ি মোড়ের কাছাকাছি দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি ছুঁডে আসাদুলকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় কংগ্রেসের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।

বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোনও রকম রাজনৈতিক কারণে ওই খুনের ঘটনা ঘটেনি। জমি কেনাবেচা নিয়ে তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী বিবাদের জেরে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেটাকে ঢাকতেই কংগ্রেসের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।’’

যা শুনে যুব তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি হারিয়েছে কংগ্রেস। তাই তারা ফের খুনের রাজনীতিতে ফিরেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Miscreants police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE