অভিযোগ, ওই সময় বাপ্পা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন তিনি। —প্রতীকী চিত্র।
ঝগড়া করায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীর শাস্তির দাবিতে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বধূ। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা গোবিন্দপুর দক্ষিণ কায়স্থ পাড়ার ঘটনা। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে বর্ধমানের বুলবুলিতলার বাসিন্দা বাপ্পা বৈরাগ্যের সঙ্গে বিয়ে হয় দশমী দুর্লভের। দশমীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই গার্হস্থ্য হিংসা হয়ে এসেছে তাঁর উপর। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শান্তিপুরে দিদিমার বাড়িতে এসে থাকছিলেন ওই বধূ। অভিযোগ, সোমবার রাতে ওই বাড়িতে চলে আসেন দশমীর স্বামী। প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় স্বামী-স্ত্রীর। অভিযোগ, এর পর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন বাপ্পা।
অভিযোগ, ওই সময় বাপ্পা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন তিনি। এমনকি বৃদ্ধ দিদিমাকে আটকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বধূ। অন্য দিকে, স্ত্রীকে মারধরের পর সেখান থেকে পালিয়ে যান বাপ্পা।
মঙ্গলবার স্বামীর শাস্তি দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই বধূ। স্বামীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, স্বামী যে ভাবে অত্যাচার করেন, তাতে তাঁর সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়।
অন্য দিকে, অভিযুক্ত বাপ্পার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিনা কারণে নয়। স্ত্রী তর্ক করায় মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে ধাক্কা দিয়েছি। কিন্তু লাথি মারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy