পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস নেতা বিমল বিশ্বাস যোগ দিলেন তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।
৫ বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের শেষে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তথা ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস। খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের তরফে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কংগ্রেস নেতা বিমল বিশ্বাস। সিআইডির হাতে গ্রেফতারও হন তিনি। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বিমলই যোগ দিলেন তৃণমূলে। সোমবার বিকেলে তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন স্থানীয় নেতৃত্ব। আর এ নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত দল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতির দাবি, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বগুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা হাঁসখালী ব্লক তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি দুলাল বিশ্বাস। ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ প্রথমে ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। কয়েক দিনের মধ্যেই বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন বগুলা-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা কংগ্রেস নেতা বিমল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমল ও দুলালের রাজনৈতিক শত্রুতা দীর্ঘ দিনের। দুলালের ভাইয়ের খুনের মামলাতেও অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিমল। বেশ কিছুদিন জেলবন্দি থাকার পর আদালতের নির্দেশে জামিনে পান বিমল। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমলের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শোনা গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষে তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলে। সোমবার রানাঘাটে জেলা নেতৃত্বের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বিমল। এই যোগদান নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হাঁসখালী ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের বড় অংশ এই যোগদান নিয়ে অখুশি। বিশেষত বগুলা-১ এবং বগুলা-২ পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীই এই যোগদান মেনে নিতে পারছেন না। তবে এ প্রসঙ্গে রানাঘাট সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ আসার পর আমরা যোগদান করিয়েছি।’’ আর সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিমলের দাবি, ‘‘আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। পুরনো বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে আগামিদিনে তৃণমূলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy