Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪
আসাননগর উচ্চবিদ্যালয়

সুভাষ স্যারের কথা আজও বেদবাক্য

তখন ১৯৮৮ সাল। সবে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ‘ইউ’ আকৃতির একতলা ভবন এবং জনাদশেক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে চলত আমাদের সাধারণ এই গ্রামীণ স্কুল। ১৯৯৪ সালে এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছি।

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০১:০৯
Share: Save:

তখন ১৯৮৮ সাল। সবে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ‘ইউ’ আকৃতির একতলা ভবন এবং জনাদশেক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে চলত আমাদের সাধারণ এই গ্রামীণ স্কুল। ১৯৯৪ সালে এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছি। দেখতে দেখতে স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী পার হয়েছে। দুর্ভাগ্য, সে সময় জেলা অনেক দূরে থাকায় অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি।

সাধারণ এই স্কুল থেকেই আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পেয়েছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্নেহ ভালোবাসা যেমন পেয়েছি। তেমনি ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল মধুর। আমার এখনও মনে আছে, প্রতি বছর ক্লাসের পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে আমাকে সমস্ত পাঠ্য বই দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হত। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের ক্লাসের পাঠদানের পাশাপাশি জীবন চলার পাঠও দিতেন। শ্রেণিকক্ষের গতানুগতিক পঠন-পাঠনের পাশাপাশি শিক্ষকেরা বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনাচক্র, ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য সব সময় উৎসাহ দিতেন। একবার বিজ্ঞান বিষয়ক একটি সেমিনারে সাফল্যের পর আশিস স্যার আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। সন্তান স্নেহে আশিস স্যারের সেই স্নেহ আজও মনে রেখেছি। স্যার আপনিও নিশ্চয়ই ভুলে যাননি।

আজ এত বছর পর আমাদের স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক সুভাষ পালের কথা খুব মনে পড়ে। আমি তাঁর প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমার ছোটবেলার নায়ক সুভাষ স্যারের কথাকে সব সময় বেদবাক্য মনে করতাম। তাঁর উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছি আজও। তাঁর ভালোবাসা-স্নেহ আমার মত অন্য ছাত্রেরাও পেয়েছে। সুভাষবাবুর মতো আজ মনে পড়ছে আশিস স্যারের কথাও। তিনিও জীবনের বড় হওয়ার জন্য আমাদের সব সময় উৎসাহ দিতেন। এখনও মনে পড়ছে, দশম শ্রেণিতে আমরা মাত্র দু’জন অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে পদার্থবিদ্যা নিয়েছিলাম। স্বল্প ছাত্র দেখেও স্যার উৎসাহ হারাননি। দু’জনকেই তিনি উজাড় করে পদার্থবিদ্যার পাঠ দিতেন।

তখন স্কুলের পরিকাঠামো ছিল যথেষ্টই অনুন্নত। এখন তো সরকারি নানা প্রকল্পে স্কুলগুলি লাগাতার অনুদান পেতেই থাকে। সে সময় এতো কিছু ছিল না। কিন্তু অনুন্ন়ত ক্লাস ঘরেই শিক্ষকেরা আমাদের সেরা পাঠ দিতেন।

আমি আশাবাদী আমাদের স্কুল শিক্ষা জগতে আরও ভাল জায়গা দখল করবে। কেন সম্ভব নয়? যে কোনও যুক্তিযুক্ত স্বপ্নই একদিন বাস্তবায়িত হয়।

চিন্ময় সাহা, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

অন্য বিষয়গুলি:

School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy